শীত পড়তে শুরু করলেই দিল্লিতে বায়ু দূষণের মাত্রা সংকটজনক൩ অবস্থায় পৌঁছে যায়। এই দূষণের জন্য সম্প্রতি প্রতিবেশী রাজ্য পঞ্জাব এবং হরিয়ানার কৃষকদের দায়ী করেছে সুপ্রিম কোর্ট। খড় পোড়ানোর ফলেই সেক্ষেত্রে দূষণ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশবিদরা। তবে এর ফলে শুধু দূষণই নয় ক্যানসার হচ্ছে। সম্প্রতি একটি সমীক্ষাতে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জলাধারের দূষণ থেকে ৯০ শতাংশ মানুষের 𓆉ক্যানসার হতেᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚ পারে, আশঙ্কা মন্ত্রীর
পঞ্জাবের পাতিয়ালার সরকারি মেডিক্যাল কলেজের বিশেষজ্ঞরা একটি সমীক্ষা করেছে। সেই সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে, খড় পোড়ানোর ফলে পঞ্জাবের কৃষকরা ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন। বিশেষজ্ঞরা, খড় পোড়ানোর ꦫসঙ্গে যুক্ত ২০০ জন কৃষকের মধ্যে একটি সমীক্ষা করেছে। ওই কৃষকরা হলেন মূলত পাতিয়ালা এবং ফতেহগড় সাহেব জেলার গ্রামের বাসিন্দা। সমীক্ষা অনুযায়ী, ওই কৃষকদের ফুসফুসের কার্যকারিতার মান উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। বিশেষজ্ঞরা দাবি করেছেন, ধানের গোড়া পোড়ানোর ফলে তা থেকে নির্গত ধোঁয়া শ্বাসযন্ত্রের মিউকোসায় জ্বালা সৃষ্টি করে।
গবেষকদের বক্তব্য, বাতাসে ২.৫ এবং ১০ মাইক্রন ধূল🐻িকণা মাত্রা বৃদ্ধির সঙ্💞গে সঙ্গে কৃষকদের মধ্যে শ্বাসকষ্টের অসুস্থতার কারণ হয়। বিশেষজ্ঞদের দাবি, ২.৫ মাইক্রন ধূলিকণা ফুসফুসের মধ্যে আরও গভীরভাবে প্রবেশ করে। এর ফলে ফুসফুসের জ্বালা এবং সংক্রমণ ঘটাতে পারে। পরবর্তীকালে সেগুলি থেকে ক্যানসার তৈরি হতে পারে।এছাড়াও এর ফলে ফুসফুসের বিভিন্ন ধরনের রোগ দানা বাঁধে। যা জিনগত কারণে থাকা সুপ্ত ক্যানসারকে বাড়াতে সাহায্য করে।
এবিষয়ে 🅺বিশেষজ্ঞ দলের একজন জানান, খড় পোড়ানোর ফলে কার্বন ডাই অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড, নাইট্রোজেন অক্সাইড, সালফার ডাই অক্সাইড এবং মিথেন নির্গত হয়। এছাড়া বাতাসে ১০ এবং ২.৫ মাইক্রন ধূলিকণা বাড়ে, যা মানব স্বাস্থ্য এবং পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করে। কীটনাশক মিশ্রণ ব্যবহার করে এবং জৈব কৃষিকাজ করা কৃষকদের শ্বাসযন্ত্রের কার্যকারিতার ফলাফলের অধ্যয়ন জোরপᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚূর্বক শ্বাস-প্রশ্বাসের পরিমাণ এবং সর্বোচ্চ শ্বাস প্রবাহের হারের মানগুলির অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য কমে যায়। ফসল পোড়ানো বাতাসের গুণমান এবং ফলস্বরূপ মানুষের স্বাস্থ্যকে বিরূপভাবে প্রভাবিত করে।