অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় অনেক মহিলারই দাঁতের সমস💜্যা দেখা দেয়। অনেকে এ বিষয়ে সতর্ক হলেও, কেউ কেউ এটিতে পাত্তা দেন না। কিন্তু গর্ভে থাকা সন্তানের জন্য মায়ের দাঁত এবং মাড়ির যত্ন অত🐻্যন্ত জরুরি। তেমনই বলছে হালের গবেষণা।
সম্প্রতি University of Sydney-র༺ কয়েক জন গবেষক অন্তঃসত্ত্বাদের নিয়ে একটি গবেষণা চালিয়েছেন। গবেষণাপত্রে তাঁরা লিখেছেন, অন্তঃসত্ত্বাদের জিনজিভাইটিস নামক দাঁত ও মাড়ির অসুখের কারণে গর্ভে থাকা সন্তানের নানা সমস্যা হতে পারে। নির্দিষ্ট সময়ের আগে জন্ম হতে পারে। ওজনও কম হতে পারে। এই কারণে হবু মায়েদের উচিত দাঁতের এবং ম🍨াড়ির খেয়াল রাখা।
কী থেকে হয় এই জিনজিভাইটিস (Gingivitis)? মূলত অপরিচ্ছন্নতা থেকেই এই সমস্যা হয়। তেমনই বলছেন চি𝔉কিৎসকরা। নিয়মিত দাঁত না মাজা, খেয়ে ♏মুখ ভালো করে না ধোওয়ার ফলে নানা ধরনের সংক্রমণ হতে পারে মুখের ভিতরে। তাতে মাড়ির ক্ষয় হয়, দাঁতেও ফুটো হতে থাকে। চিকিৎসা না করালে বা যত্ন না নিলে উত্তরোত্তর বাড়তে থাকে এই সমস্যা।
কী ভাবে গর্ভে থাকা সন্তানের ক্ষতি হতে পারে এর ফলে? গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, মাড়ি বা দাঁতে জন্মানো জিনজিভাইটিসের জীবাণু রক্তে মেশে। সেই জীবাণু 🍌অতি সহজেই রক্তের মাধ্যমে পৌঁছোতে পারে গর্ভে। আর 🉐সেটি ক্ষতি করে গর্ভে থাকা সন্তানের।
হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে চিকিৎসক মহেন্দ্র নারুলা বলেছেন, ভারতে অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশই মাড়ির সমস্যায় ভোগেন। এই সময়ে জিনজিভাইটিসের আশঙ্কাও বেড়ে যায়। এর ফলে হজমের সমস্যা, হৃদরোগ, কিডনির সমস্যা দেখা দিতেই পারে।’ তার সঙ্গে এবার যুꦛক্ত হল গর্ভে থাকা সন্তানের জন্য নানা সমস্যাও। তেমনই বলছে গবেষণাটি।
কী ক্ষতি হতে পারে এর ফলে? গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, এই অসুখটির ফলে মায়েদের শরীরে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। তার প্রভাব পড়ে ভ্রুণের উপ𒁃র। নির্দিষ্ট সময়ের আগে সন্তানের জন্ম হতে পারে এর ফলে। স্বাভাবিকের চেয়ে ওজন কম হতে পারে। সংক্রমণ মারাত্মক জায়গায় গেলে গর্ভপাত হওয়ার ঝুঁকিও দেখা দিতে পারে।
কী করে বাঁচা যায় এ থেকে? বিজ্ঞানীরা বলেছেন, বিষয়টি খুব কঠিন নয়। নিয়মিত দাঁত মাজা। খাবার খাওয়ার পরে মুখ ভালো করে ধোওয়া। এই নিয়মগুলি মেনে চলতে হবে। আর সামান্য সমꦿস্যা হলেই চিꦍকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।