ভেবেছিলেন মাইগ্রেনের জন্য মাথায় এত কষ্ট হচ্ছে। কয়েক সপ্তাহ ধরে ভোগার পর সোজা ডাক্তারের কাছেই চলে গিয়েছিলেন রোগী। তারপর ডাক্তার সবটা পরীক্ষা করে যা বললেন, শুনে হতবাক সকলেই। ফিতাকৃমিতে ছেয়ে গিয়েছে মস্তিস্ক। কৃমি কুড়ে কুড়ে খেয়ে নিচ্ছে মস্তিষ্কের হারমজ্জা। তাই এত কষ্ট। একটি নির্দিষ্ট খাবার খাওয়ার পর থেকেই নাকি এই ভয়ানক বিপদের সম্মুখীন হয়েছেন রো🅠গী। কী এমন খাবার খেয়েছিলেন তিনি।
আমেরিকার ফ্লোরিডার ঘটনা। ফ্লোরিডায় একজন 𝔍মার্কিন ব্যক্তি, বয়স ৫২ বছর, এই রোগের শিকার হয়েছেন। নিউ ইয়র্ক পোস্ট জানিয়েছে, তিনি প্রাথমিকভা♏বে গুরুতর মাইগ্রেনে ভুগছিলেন বলে ধারণা করা হয়েছিল, পরে তাঁর মস্তিষ্কে টেপওয়ার্ম অর্থাৎ ফিতাকৃমির সংক্রমণ পাওয়া গিয়েছে। মধ্য বয়স্ক এই ব্যক্তি কম রান্না করা বেকন খাওয়ার পর থেকেই এই গুরুতর সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। যাইহোক, শুধুমাত্র বেকনই ওই রোগীর এই উদ্ভট অসুস্থতার একমাত্র কারণ ছিল না।
জানা গিয়েছে, কম রান্না করা ওই বেকন খারাপ হয়ে গিয়েছি🌱ল, যা খাওয়ার রোগীর ঝুঁকি আরও বেড়েছে। এর ফলে নিউরোসিস্টিসারকোসিস নামে একটি গুরুতর সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন তিনি, এই সমস্যায় মূলত কোনও পরজীবী ব্যক্তির শরীরে ডিম পাড়ে এবং শরীরের বিভিন্ন অংশকে ব্যাপকভাবে সংক্রামিত করে। আমেরিকান জার্নাল অফ কেস রিপোর্টে এই উদ্বেগজনক ঘটনাট🅠ি এরইমধ্যে নথিভুক্ত করা হয়েছে।
- মস্তিকে ফিতাকৃমি বাসা বেঁধেছে, বুঝবেন কীভাবে
ফিতাকৃমি মস্তিষ্কে ডিম পাড়ার পর থেকেই লক্ষণগুলি দেখা দেয়। এক্ষেত্রে, খিঁচুনি একটি সাধারণ লক্ষণ। এরপর অ্যালবেনডাজল ওষ📖ুধ খাইয়ে এই রোগের চিকিৎসা করা হলে, দুই সপ্তাহ পরে শরীরে উন্নতি দেখা যায়। চিকিৎসকরা সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন। মাইগ্রেনের ধরনে কোনও পরিবর্তন অনুভব করলে অবিলম্বে ডাক্তার দেখানো উচিত। ডাক্তার তখন রোগীদের কাছ থেকে বিস্তারিত জেনে সঠিক চিকিৎসাটি করতে পারবেন।
সিডিসি অনুসারে, বাথরুম ব্যবহারের পরে হাত না ধুলে নিউরোসি🐼স্টিসারকোসিসের সমস্যা আসতে পারে। এই রোগের কারণে প্রতি বছর প্রায় ১,০০০ আমেরিকানদের হাসপাতালে ভর্তি হয়ে থাকেন। সিডিসি এই অসুস্থতাকে পরিবারের উপর প্রভাব ফেলতে না দেওয়ার জন্য, বিশেষ করে খাবার খাওয়ার আগে কিংবা পরে পরিস্কার করে হাত ধোয়ার প্রয়োজনীয়তার উপর🌊 জোর দিয়েছে।
সিডিসি-র একটি সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এই সম্পর্কিত অসুস্থতা তুলে ধরা হয়েছে যা প্রতি বছর প্রায় ১,০০০ আমেরিকানকে প্রভাবিত করে। এর ফলে হাসপাতালেও ভর্তি হতে হয়। রোগটি যদিও প্রতিরোধযোগ্য, কিন্তু তবুও এটি শারীরিক ঝুঁকির জন্ম দেয়। সম্প্রতি জানা গিয়েছে, একজন রোগী নাকি নিজের মস্তিষ্কের উভয় পাশেꩵই ফোলাভাব এবং সিস্ট অনুভব করেছেন।