Battle Field of Plassey: এবার ঘুরে আসুন পলাশির সেই যুদ্ধক্ষেত্রে, গায়ে কাঁটা দেবে! কথা বলে ইতিহাস, দেখুন সেই প্রান্তর Updated: 24 May 2024, 10:28 AM IST Satyen Pal Share ইতিহাস বইতে পড়া পলাশির যুদ্ধ। ঘুরে আসুন সেই প্রান্তরে। 1/4মুর্শিদাবাদ বেড়াতে গেলে পর্যটকদের কাছে একটা বড় আকর্ষণ হাজারদুয়ারি। সেই সঙ্গেই হাজারদুয়ারি সংলগ্ন একাধিক ঐতিহাসিক জায়গায় যান পর্যটকরা। কিন্তু মুর্শিদাবাদে গিয়ে কি পলাশির যুদ্ধক্ষেত্রটা কোনওদিন দেখেছেন? অর্থাৎ যেখানে পলাশির যুদ্ধ হয়েছিল। দেখলেই গায়ে কাঁটা দেবে। মনে হবে আপনি যেন পিছিয়ে গিয়েছেন বহু কাল আগে। 2/4কলকাতা থেকে এই জায়গার দূরত্ব প্রায় ১৬০ কিমি। বহরমপুর থেকে পলাশির দূরত্ব প্রায় ৪০ কিমি। ছোট্ট গ্রাম পলাশি। তবে ঠিক কোথায় যুদ্ধ হয়েছিল সেটা নিয়ে কিছুটা বিতর্ক রয়েছে। তবে স্থানীয়দের একাংশের মতে, ভাগীরথী তার গতি পরিবর্তনের জন্য আসল যেখানে যুদ্ধ হয়েছিল তার কিছু অংশ সম্ভবত নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে। তবে এই গ্রামেই রয়েছে পলাশি ওয়ার মেমোরিয়াল। তার সামনে দাঁড়িয়ে একবার দেখুন অন্যরকম মনে হবে। 3/4পরিবার নিয়ে যেতে পারেন। স্কুল পড়ুয়া সন্তান থাকলে তাকে ওই খানে দাঁড়িয়ে জানিয়ে দিন ফেলে আসা ইতিহাসের কথা। ১৭৫৭ সাল। এই আমবাগানেই হয়েছিল পলাশীর যুদ্ধ। পরাজিত হয়েছিলেন সিরাজ উদ দৌল্লা। সেখানে সিরাজের মূর্তি করা হয়েছে। স্মৃতি স্তম্ভও রয়েছে। চারপাশটা ঘুরে দেখুন। একবার চোখ বুজে ভাবুন সেদিনের কথা। সেখানে বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান পিপলস ফোরামের তরফে একটা ফলক রয়েছে। তাতে লেখা পরদেশগ্রাসীদের বিজয়স্তম্ভ নয়, সিরাজ, মীরমদন, মোহনলালের নাম হোক অক্ষয়। একটি বিরাট স্তম্ভ তৈরি করা হয়েছে। নীচে লেখা ব্যাটেল ফিল্ড অফ পলাশি। 4/4মুর্শিদাবাদ থেকে কলকাতার দিকে আসার পথে ডানদিকে বেঁকে যাবেন। ফুলতলা মোড় থেকে ডানদিকে বেঁকে যাবেন। গেটওয়ে অফ পলাশি ব্যাটেল ফিল্ড। রাস্তার মুখেই রয়েছে তোরন। তার নীচে দিয়ে বেশ কিছুটা গেলে পাবেন সেই ঐতিহাসিক জায়গা। মোটামুটি সাড়ে তিনকিমি গেলেই পাবেন এই পলাশির যুদ্ধক্ষেত্র। পলাশির যুদ্ধ স্মারক থেকে কিছুটা এগিয়ে পায়ে চলা পথ দিয়ে এগিয়ে যান। কিছুটা গেলেই পাবেন সেই ঐতিহাসিক জায়গা। এখানেও রয়েছে স্মারকস্তম্ভ। এখনও মালা দেওয়া হয় সেই স্মৃতিস্তম্ভে। পুরো গ্যালারিটির জন্য এই বিজ্ঞাপনটি দেখতে হবে পরবর্তী ফটো গ্যালারি