একদিকে, হু হু করে বাড়ছে ওমিক্রনের সংক্রমণ। অন্যদিকে, এক দল মানুষের এ নিয়ে বিশেষ মাথাব্যথা নেই। কারণ তাঁদের ধারণা, ওমিক্রন তেমন কোনও ক্ষতি করতে পারে না। তাই একে পাত্তা না দিলেও হবে। কিন্তু এই🐓 ধারণা কতটা ঠিক? কী বলছেন চিকিৎসকরা?
একথা সত্যি যে, এখনও পর্যন্ত করোনার যে ক’টি রূপ সংক্রমিত হয়েছে, তার মধ্যে ওমিক্রনে বাড়াবাড়ির পরিমাণ সবচেয়ে কম হয়েছে। এতে এখনও পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার হার এবং মৃত্যুর হার কোভিডের 🌃অন্য রূপগুলির 🧜তুলনায় কম। কিন্তু এটি কি আদপে নিরাপদ? নাকি একে নিয়ে সমস্যাও আছে?
হালে বস্টনের Tufts Medical Center-এর চিকিৎসক এবং গবেষক শিরা ডোরন সংবাদমাধ্যমকে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ওমিক্রনে কিছুই হ🥂বে না— এমন ভাবার কোনও কারণ নেই। তাঁর কথায়, ‘ওমিক্রন সংক্রমণের পরে লং কোভিের মতো সমস্যা দেখা দিচ্ছে। 🐲অনেকেরই এই সমস্যা হচ্ছে। এটিকে উপেক্ষা করলে পরে সমূহ বিপদের আশঙ্কা রয়েছে।’
কিন্তু বিভিন্ন দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবার তরফে সরকারি ভাবেই একে ‘মৃদু’ বলা হয়েছে। এমন বলার কারণটি কী? শিরা বলছেন, ‘এক্ষেত্রে ‘মৃদু’ কথাটার ভুল ব্যাখ্যা করলে চলবে না। ‘মৃদু’ মানেই সেটি নিরাপদ নয়। ‘মৃদু’ বলার মানে, এই সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্🐭তি হওয়ার আশঙ্কা তুলনায় কম। ক꧟িন্তু তার মানেই এটি নিরাপদ নয়।’
চিকিৎসকের মতে, ওমিক্রনের সঙ্গে সাধারণ ঠান্ডা লাগা বা ফ্লুয়ের মিল রয়েছে। কিন্তু কোনও ঠা🎐ন্ডা লাগা বা ফ্লু এতটাও কাহিল করে না, যতটা ওমিক্রন করছে। ফলে এটিকে নিরাপদ ভাবার কোনও কারণ নেই।
চিকিৎসকদের মতে, ওমিক্রন শরীরের কতটা ক্ষতি করে, তা বলার সময় এখনও আসেনি। সেটি যত ক্ষণ না বোঝা যಞাচ্ছে, তত ক্ষণ একে হাল🐼্কা চালে নেওয়া মানে, বিপদ বাড়িয়ে তোলা।