মঙ্গলবার ভারত-সহ পৃথিবীর বহু দেশ সাক্ষী থাকছে সূর্যগ্রহণের। চলতি বছরের শেষ সূর্যগ্রহণ এটিই। বহু মানুষ এবারের গ্রহণ প্রত্যক্ষ করলে♒ন।
আদি যুগে যখন মানুষ বুঝতে পারত না, গ্রহণের বিষয়টি আসলে কী, তখন নানা ধরনের ভুল ধারণা🍨র জন্ম হয়েছিল গ্রহণ নিয়ে। কিন্তু বিজ্ঞানের অগ্রগতির পরেও অনেকগুলি ধারণা রয়ে গিয়েছে। তেমনই পাঁচটি ধারণা শুধরে দ🔴িয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
১। পূর্ণগ্রাসের আলো চোখে লাগলেই চোখ নষ্ট হয়ে যাবে: বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই ধারণা মোটেই ঠিক নয়। সূর্যগ্রহণের সময়ে তার আলো চোখের ক্ষতি করতে পারে। কিন্🦄তু পূর্ণগ্রাসের সময়ে যে আলো আসে, তার তেজ তুলন🐻ায় অনেক কম। ফলে তাতে চোখ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা কম। তবু নিরাপদে থাকতে, গ্রহণ দেখার চশমা পরেই এই পূর্ণগ্রাস দেখতেই পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা।
২। অন্তঃসত্ত্বাদের গ্রহণে বাইরে বেরোতে নেই: এরও কোনও যুক্তি নেই বলছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের মত, এগুলি আদি যুগের কিছু ধারণা থেকে তৈরি। মানুষ তখন গ্রহণকে ভয় পেত। তাই তারা এই ধ♏রনের কিছু জিনিস বানিয়ে নেয়। সেখান থেকেই এমন ধারণার জন্ম।
৩। গ্রহণে খাবার বিষ হয়ে যায়: মোটেই না। অনেকের ধারণা, গ্রহণে বিভিন্ন জীবাণু বাড়বাড়ন্ত হয়। ফলে এই সময়ে খাবার বিষাক্ত হয়ে 🌸যায়। তাই অনেকেই গ্রহণের ℱসময়ে রান্না করে রাখা খাবার ফেলে দেন। গ্রহণ শুরুর আগে খাবার খেয়েও নেন। কিন্তু এর পিছনে কোনও বৈজ্ঞানিক যুক্তি নেই। তেমনই বলছেন বিজ্ঞানীরা।
৪। গ্রহণ ভবিষ্যতের খারাপ ইঙ্গিত দেয়: এমন কথার কোনও মানে নেই। এমনও বলছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের মতে, অতীতে এমন কিছু ঘটনা কখনও ঘটে থাকতে পারে, যার ঠিক আগেই হয়তো গ্রহღণ হয়েছিল। সেখান থেকেই এমন ভুল ধারণার জন্ম হয়েছে। এর পিছনে বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।
৫। উত্তর আর দক্ষিণ মেরুতে পূর্ণগ্রাস গ্রহণ হয় না: এটিও ভুল ধারণা। দুই মেরুতেই পূর্ণগ্রাস গ্রহণ হয় বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞা🥃নীরা। তাঁদের বক্তব্য, ২০১৫ সালের ২০ মার্চ উত্তর মেরুতে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ হয়েছে। আর দক্ষিণ মেরুতে ২৩ নভেম্বর, ২০০৩-এ।
এমনই আও বহু ভুল ধারণা আছে অনেকের মধ্যে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, সেগুলির অধিকাংশে💜রই জন্ম বহু বহু বছর আগে। মানুষ যখন বিজ্ঞানচর্চা শুরু করেনি। সেই সময়ে এমন ধারণার জন্ম। যেগুলির অনেকগুলিই আজও রয়ে গিয়েছে।