জগদীশ চন্দ্র বসু বলে গিয়েছেন, গাছপালার প্রাণ আছে। এবার জাপানের বিজ্ঞানীদের একটি দল বললেন, গাছপালাও একে অপরের সঙ্গে কথাও বলে।♊ সত্যতা প্রমাণে এমন আশ্চর্যজনক ভিডিয়ো দেখালেন যা দেখে রীতিমত হতবাক হয়ে যেতে পারেন আপনিও। "কথা বলা" উদ্ভিদের রিয়েল-টাইম ফুটেজ বলা যেতে পারে এটিকে।
সায়েন্স অ্যালার্ট অনুসারে, গাছপালা বায়ুবাহিত যৌগগুলির একটি সূক্ষ্ম কুয়াশা দ্বারা বেষ্টিত থাকে, যা তারা একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে ব্যবহার করে। এই যৌগগুলি কাছাকাছি গাছপালাকে বিপদের আগে সতর্ক করে দেয়। জাপানি বিজ্ঞানীদের দ্বারা রেকর্ড করা ভিডিয়োগুলি দেখেই বোঝা গিয়েছে যে কীভাবে গাছপালা এই বায়ুবাহিত অ্যালার্ট বুঝতে পারে এবং যথাসময়ে প্রতিক্রিয়া জানায়৷ এর🦩ই পাশাপাশি কীভাবে একটি ক্ষতিগ্রস্থ উদ্ভিদ অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্থ উদ্ভিদদের সঙ্গে কথা বলে কিংবা প্রতিক্রিয়া জানায়, সেটিও আবিস্কার করতে পেরেছেন বিজ্ঞানীরা।
- কীভাবে ‘কথা বলা’ গাছের সত্যতা খুঁজে পেলেন বিজ্ঞানীরা?
এই গবেষণায়, জানানো হয়েছে যে, 'অন্যান্য কীটপতঙ্গ, ত🐈ৃণভোজী বা বিভিন্ন যন্ত্র দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত উদ্ভিদরা প্রতিবেশী উদ্ভিদের নিজের অবস্থা সম্পর্কে জানায়, উপলব্ধি করায়। এরপর প্রতিবেশি উদ্ভিদ এই আগাম বিপদের ব্যাপারে সতর্ক হয়ে যায় এবং নিজেকে রক্ষা করার চেষ্টা করে। আর বলা বাহুল্য, এই যোগাযোগ গাছপালাকে পরিবেশগত বিভিন্ন বিপদ থেকেও রক্ষা করে'।
আর এই গাছপালার এই যোগাযোগের মুহূর্তকেই ক্যাপচার করার জন্য, বিজ্ঞানীরা বিশেষ এক বায়ু পাম্প ব্যবহার করেছেন। একটি বাক্সে গাছের পাতা এবং শুঁয়োপোকা রেখেছিলেন এবং অন্যটিতে সরিষার অ্যারাবিডোপসিস থালিয়ান🎉া নামক আগাছা রেখেছিলেন। শুঁয়োপোকাকে টমেটো গাছ এবং অ্যারাবিডোপসিস থালিয়ানা থেকে কাটা পাতা খেতে দেওয়া হয়েছিল। এবং সেই বিপদ সংকেতগুলির দেখে অ্যারাবিডোপসিস উদ্ভিদ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল। আর সেই মুহূর্তই ক্যাপচার করেছেন বিজ্ঞানীরা। এছাড়াও বিজ্ঞানীরা ওই পরীক্ষায় একটি বায়োসেন্সর যোগ করেছিলেন যা উজ্জ্বল সবুজ এবং ক্যালসিয়াম আয়ন সনাক্ত করেছিল।
- ভাইরাল ভিডিওতে কী দেখা গিয়েছে?
ভিডিওতে দেখা যায়, ক্𓂃ষতিগ্রস্থ গাছগুল💫ি আহত প্রতিবেশীদের বার্তা পেয়ে নিজেদের প্রসারিত পাতা সংকুচিত করে। এরপর ক্যালসিয়াম সংকেত পাঠিয়ে প্রতিক্রিয়া জানায়।
ভিডিয়োটি প্রকাশ করে মিঃ টয়োটা বলেন, 'কখন, কোথায়, এবং কীভাবে গাছপালা তাদের ক্ষতিগ্রস্থ প্♏রতিবেশীদের কাছ থেকে বায়ুবাহিত 'সতর্ক বার্তা'-তে সাড়া দেয় তার জটিল গল্প আমরা অবশেষে উন্মোচন করেছি।' উল্লেখ্য, সাইতামা বিশ্ববিদ্যালয়ের আণবিক জীববিজ্ঞানী মাসাতসুগু টয়োটার নেতৃত্বে এই গুরুত্বপূর্ণ গবেষণাটি এর আগে নেচার কমিউনিকেশনস জার্নালে প্রকাশিত হয়েছিল। এই গবেষণা চলাকালীন টয়োটার সঙ্গে একই টিমে কাজ করেছিলেন পিএইচডি ছাত্র ইউরি আরতানি এবং পোস্টডক্টরাল গবেষক তাকুয়া উমুরা।