শীতের সময় নানারকম রোগের প্রাদুর্ভাব হয়। এই সময় আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে আসে। এর ফলে বাইরের জীবাণু সহজেই বিভিন্ন অঙ্গে আ𓄧ক্রমণ করে। মানুষের মতো পোষ্যরাও সমানভাবে আক্রান্ত হতে পারে। আদুরে পোষ্যকে শীতের সময় ভালো রাখতে হলে তাদের কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখা জরুরি।
পোষ্যটি যদি বিড়াল হয়, তবে ওর কিছু নির্দিষ্ট যত্ন নেওয়া জরুরি🦋। পোষ্য স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, বিড়ালের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলা খুব কঠিন ব্যাপার নয়। বরং কিছু নিয়ম মেনে চললে বিড়াল নিজেই নিজের খেয়াল রাখতে পারে। এছাড়াও ছোটোখাটো বিষয় খেয়ালে রাখলে দীর্ঘসময়ের জন্য বিড়ালের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যত বাড়ে, ততই শরীর জীবাণুর সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম হয়। পাশাপাশি পোষ্য রোগে খুব কম আক্রান্ত হয়। তাই রোগ থেকে দূর রাখতে ওদের প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলা দরকার।
বিভিন্🅺ন সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, একবার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠলে বিড়াল বেশি বয়সেও সুস্থ থাকে। এছাড়া কোন💙ও রোগে আক্রান্ত হলে সহজে সেরে ওঠে। পাশাপাশি ও দৌঁড়ঝাপ ও খেলাধুলোও করতে পারে।
পোষ্য স্বাস্থ্য বি🅺শেষজ্ঞ ডাঃ অময়া এসপিনদোলা তাঁর সাম্প্রতিক ইনস্টাগ্ৰাম পোস্টে এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন।
অময়ার মতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুই ধরনের হয়। একটি হল জন্মগত প্রতিরোধ ক্ষমতা ও অন্যটি অর্জিত প্রতিরোধ ক্ষমতা। এই দুই ধরনের প্রতিরোধ ক্ষমতাই পরিবেশের সঙ্গে পোষ্যকে খাপ খাইয়ে নিতে সাহায্য করে। পাশাপাশি পোষ্যকে উদ্বেগ ও স্ট্রেস✱ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে। ।
ত্বক ও পেট: ত্বক ও পেট পোষ্যের শরীরের প্রধান দুটি অঙ্গ। এই অঙ্গ দুটি জীবাণুর সংস্পর্শে সবচেয়ে বেশি আসে। তাই ত্বক ও পেট ভালো রাখতে পোষ্যকে নিয়মিত ভালো খ🙈াবার খাওয🌠়ানো জরুরি। শীতের সময় ওর ডায়েট কেমন হবে, সে ব্যাপারে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার। খাওয়াদাওয়ার পাশাপাশি জলও নির্দিষ্ট পরিমাণে খাওয়ানো প্রয়োজন।
শ্বাসযন্ত্র: পোষ্যের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হল শ্বাসযন্ত্র। শ্বাসপ্রশ্বাস গ্ৰহণের মাধ্যমে নানারকম ব্যাকটেরিয়া শরীরে প্রবেশ করতে পারে। ফলে বাড়তে পারে সংক্রমণের আশঙ্কা। তাই পোষ্যকে তুলনামূলক ভালো পরিবেশে রাখা দরকার। যে ঘরে এয়ার ফ্রেশ💯নার ব্যবহার হয়, সে ঘরে পোষ্যকে না রাখাই ভালো। এছাড়া, ওর ঘরের আশেপাশে ধূমপান করাও ঠিক নয়।
প্রাথমিকভাবে এই নিয়ম মেনে চলার পাশাপাশি পোষ্যের বিশেষ যত্ন নিতে ওর চিকিৎসܫকের সঙ্গেও আলোচনা করা যেতে পা🏅রে।