পেটের সমস্যা এখন নিত্যদিনের ঘটনা। আমাদের রোজকার জীবনযাপন ও মশলাদার খাবার খাওয়ার অভ্যাসেই পেটের গন্ডগোল হয়। মূলত বাইরের চটজলদি মশলাদার খাবার পেট সহজে হজম করতে পারে না। এছাড়া অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার খাওয়ার ফলে শরীরে বাড়তে থাকে ফ্যাটের পরিমাণ। এর থেকে দেখা দিতে পারে 🙈পাকস্থলির সমস্যা। পাশাপাশি লিভার ও অন্ত্রের সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের কথায়, আমাদের অন্ত্রে থাকে শরীরের জন্য উপকারী কিছু মাইক্রোবায়োম বা ব্যাকটেরিয়া। এই ব্যাকটেরিয়াগুলো খাবার হজম করতে সাহায্য করে। বিজ্ঞানের পরিভাষায় এদের ভালো ব্যাকটেরিয়াও বলা হয়। কোনও কারণে এই মাইক্রোবায়োমগুলো শরীর থেকে বেরিয়ে গেলে দেখা দেয় সমস্যা। এর ফলে হজমের অসুবিধা থেকে পেটের গন্ডগোলের মতো র﷽োগ দেখা দিতে পারে। তাই পেটের হাল ঠিক রাখতে এই ব্যাকটেরিয়াদেরও ভালো রাখা তাই জরুরি।
সম্প্রতি এক গবেষণায় জানা গিয়েছে, নিয়মিত টম্যাটো খেলে এ෴ই ব্যাকটেরিয়ার স্বাস্থ্য ভালো থাকে। টম্যাটোর পুষ্টিগুণ এদের বাঁচিয়ে রাখে ও সংখ্য🎶াবৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এদের কার্যক্ষমতাও অটুট রাখে।
মাইক্রোবায়োলজি স্প্রেকট্রাম পত্রিকায় প্রকাশিত গবেষণাটি প্রাথমিকভাবে করা হয় শূকর শিশুদের নিয়ে। শূকরদের খাদ্যযন্ত্রের সঙ্গে মিল রয়েছে মানুষের খাদ্যযন্ত্রের। তাই গবেষণার ফলাফল সবাইকেই আশার আলো দেখাচ্ছে। ২০ টি শূকর শিশু নিয়ে এই পরীক্ষাটি করা হয়েছিল। দশজন শূকর শিশু নিয়ে এক একটি দল তৈরি করা হয়। এদের মধ্যে একটি দলকে দেওয়া হয় সাধারণ খাবার। আর বাকি দশ জনের দলটিকে ডায়েটে ছিল টম্যা🌊টো দিয়ে তৈরি এক বিশেষ ধরনের পাউডার। প্রত্যেকটি শূকরশিশুর ডায়েটেই সমান পরিমাণ ফাইবার, প্রোটিন, ফ্যাট ও কার্বোহাইড্রেট ছিল।
নির্দিষ্ট দিন এই ডায়েট চলার পর শূকরদের মুখ থেকে পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষাটি করা হয় শটগান মেটাজেনোমিক্স পদ্ধতিতে। এই পদ্ধতিতে নমুনায় 🌌উপস্থিত মাইক্রোবায়োমগুলির ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। বিশ্লেষণের ফলে দেখা যায়, পুরোনো মাইক্রোবায়োম থেকে নতুন প্রজাতির মাইক্রোবায়োমের উৎপত্তি হয়েছে। শুধু তাই নয়, এগুলোর মধ্যে দুটি মাইক্রোবায়োম স্তন্যপায়ী প্রাণীদের খাদ্যযন্ত্রে সাধারণভাবে দেখা যায়। ঘটনাচক্রে এই দুটির ঘনত্বই সবচেয়ে বেশি ছিল। এই ফলাফলই আশার আলো জাগিয়ে তুলেছে বিজ্ঞানীদের মনে।
গবেষকদলের ⛎প্রধান সদস্য জেসিকা কুপারস্টোন জানাচ্ছেন, পরীক্ষাটি অদূর ভবিষ্যতে মানুষের ক্ষেত্রেও করার পরিকল্পনা হয়েছে। তবে মা꧃নুষের ক্ষেত্রে ফলাফল পেতে আরও বড় স্তরে পরীক্ষার প্রয়োজন।
মাইক্রোবায়োমের সংখ্যা 🤪বাড়ার পাশাপাশি পরিবর্তন আসছে তাদের প্রজাতিতেও। পুরোনো মাইক্রোবায়োম থেকে সৃষ্টি হচ্ছে নতুন নতুন মাইক্রোবায়োম। জেসিকা মূলত ☂এই বিষয়টাকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন। তিনি জানাচ্ছেন, কীভাবে মাইক্রোবায়োমের সংখ্যা বাড়ছে তার উপর ভবিষ্যতে আরও পরীক্ষা নিরীক্ষার প্রয়োজন। পাশাপাশি এটাও দেখা দরকার, কীভাবে ও কেন নতুন প্রজাতির মাইক্রোবায়োম তৈরি হচ্ছে। টম্যাটোর পুষ্টিগুণের কারণে এমনটা হয়ে থাকলে মানুষের ক্ষেত্রেও আশানুরূপ ফল পাওয়া যাবে বলে বিশ্বাস গবেষকদের।