সর্বত্র কাজের চাপ বাড়ছে। বাড়ছে প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব। তার সঙ্গে বাড়ছে ‘টার্গেট’-এর সীমারেখা। কিন্তু সেই টার্গেট পূরণ করতে ব্যর্থ হলে কী হতে পারে? কোনও কোনও অফিসে বাড়ে মানসিক চাপ। কোনও কোনও অফিসে বাড়ে না বেতন। কিন্তু এই টার্গেট পূরণ করতে ব্যর্থ হলে কতটা মানসিক নির্যাতন এবং গালিগালাজ জুটতে পারে এক জনের? হালে এক ভিডিয়ো এই প্রশ্ন তুলে দিয়েছে আবার। এক বেসরকারি ব্যাঙ্কের কর্তা তাঁর অধস্তনদের বিশ্রীভাবে গালি দিয়ে চলেছেন ভিডিয়ো কলে। ✱ভিডিয়ো কলে উপস্থিত একজন সেটি রেকর্ড করে পোস্ট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর তার জেরেই বরখাস্ত হয়েছেন সেই ব্যাঙ্ককর্তা।
ঘটনাটি কী ঘটেছে? এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের এক কর্তা (নাম পুষ্ওপল রায়)-কে ভিডিয়🏅ো কলে সহকর্মীদের সঙ্গে ব্যাপক মাত্রা বিশ্রী আচরণ করতে দেখা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, সিনিয়র ভিপি পদে থাকা সেই কর্তা নাকি এর আগেও বহু বার এমন আচরণ করেছেন।
এই ভিডিয়োয় দেখা যায়, প্রথমে তিনি রাহুল বর্মা নামে একজনের উপর চিৎকার করেন। এর পরে বিশ্বনাথ দে বলে একজনকে গালি দিতে থাকেন। ছাপার অযোগ্য ভাষায় তাঁকে বলতে দেখা যায়, ‘আমায়** ভেবেছিস?’ এর পরে তিনি সেই সহকর্মীকে জোকার বলে অপমানও করেন। কেন নির্দিষ্টি টার্গেটের চেয়ে কম সেভিংস এবং কারেন্ট অ্যাকাউন্ট তিনি খোলাতে পেরেছেন, সেই অভিযোগ তুলে পুষ্পল রায় অকথ্য গালিগালাজ করতে থাকেন সেই সহকর্ম𒅌ীকে। তিনি থামাতে গেলেও কোনও লাভ হয় না। শেষে জন ব্রাউন নামের একজনকে তিনি আক্রমণ করেন। এর পরেই ভিডিয়োটি শেষ হয়ে যায়।
জানা গিয়েছে, প্রাথমিক ভাবে সৌমী চক্রবর্তী নামের একজন এই ভিডিয়োটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন। তিনি এই𒅌 ভিডিয়ো পোস্ট করে লেখেন, তাঁর কাছে এই ভিডিয়োটি এসেছে। এটি এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের এক কর্তার ভিডিয়ো। তিনি এভাবে কেন কথা বলছেন, এবং কেন তাঁর সহকর্মীরা এটি বরদাস্ত করছেন, সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি।
এই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়তেই ব্যাঙ্কের তরফে পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে শোনা গিয়েছে। এই বেসরকারি ব্যাঙ্কের তরফে সংবাদমাধ্যমকে জানানো হয়েছে, অভিযুক্ত ব্যাঙ্ককর্তাকে বরখাস্ত করা হয়ে✨ছে। এবং এই বিষয়টির তদন্ত চলছে। এর পরে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT A⛦pp ডাউনলোড করার লিঙ্ক