ছোটবেলায় রামায়ন পড়া থেকেই কিন্তু আমাদের গন্ধমাদন পর্বতের সঙ্গে পরিচিতি। সেই হনুমান যখন কাঁধে করে লক্ষণকে বাঁচাতে হিমালয় থেকে জড়িবুটি সমেত পাহাড় নিয়ে আসে তখন এক টুকরো পাহাড় পড়ে যায়, ꧋যার নাম হয় গন্ধমাদন পর্বত। আপনি চাইলেই সেই জায়গা থেকে ঘুরে আসতে পারবেন। কারণ তা আছে আমাদের পাশের রাজ্য ওড়িশায়। হাতে দিন তিন সময় থাকলেই হবে।
নোয়াপাড়া থেেক যেতে হবে এই গন্ধ মাদন পর্বতে। প্রকৃতিপ্রেমীদের বিশেষ করে ভালো লাগবে এই জায়গা। কারণ এখানে আপনারা একসঙ্গে দেখতে পারবেন পাহাড়, জঙ্গল, ঝর্ণা। পাহাড়ের দুই গায়ে দুটি মন্দির। একটি হরিশঙ্কর এবং অপ🅘রটি নৃসিংহনাথ মন্দির। গন্ধমাদন পর্বত থেকে উৎপত্তি হয়েছে ঝর্না হরিশঙ্করের।
গন্ধমাদন পর্বতে সবুজ জঙ্গলে ঘেরা একটি বন বাংলো। নৃসিংহনাথ মন্দিরের কাছেই নৃসিংহনাথ ফরেস্ট বাংলোটি। এই বন বাংলো আগে থেকে বুক করেই আসতে হয়। ঘরের থেকে শোভা অসাধারণ। ব্যালকনিত🍷ে দাঁড়িয়েই আপনাদের ꦐমন ভরে যাবে।
নৃসিংহনাথ মন্দিরের কাছেই রয়েছে ভীম কু𓄧ণ্ড। এই মন্দিরকে নিয়ে অনেক পৌরানিক কাহিনি রয়েছে। বলা হয় যে, পাহাড়ে এক দানব মুশিক রূপে লুকিয়েছিলেন এখানে। আর তাকে মারতে বিষ্ণু আসে মার্জার রূপ নিয়ে। তারপর থেকেই মার্জার রূপে পূজಞিত হন বিষ্ণু। প্রতিবছর অসংখ্য ভক্ত আসেন এই দুই মন্দিরে। বিশেষ করে শ্রাবণ মাসে।
বন বাংলো থেকে ৪ কিমি দূরে কপিলধারা ওয়াটার ফলস। একটু পাহাড়ের উপরে𓆏 ওঠে তারপর দেখা মেলে এটিꦜর। তবে গাড়ি যায়। এখানে গভরমেন্ট রেজিস্টার্ড ঔষধি কেনার দোকানও পাবেন।
কীভাবে আসবেন এখানে
কলকাতা থেকে ট্রেনে করে চলে আসুন সম্বলপুর। সেখান থেকে গা𓆉ড়িকে বলুন নৃসিংহনাথ মন্দির যাবেন। মন্দির✃ের সামনে কাউকে জিজ্ঞেস করলেই বাতলে দেবে বন বাংলোর কথা।