সম্প্রতি আসামে একটি ১৫ মাসের শিশু সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্ত হয়ে যাওয়ার কিছু সময়ের মধ্যেই মারা যায়। জানা গেছে, ওই শিশুটির পরিজনরা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে অস্বী𓄧কার করে। অন্যদিকে ডাক্তাররা ওই শিশুটিকে ভেন্টিলেশনে রাখার পরামর্শ দেওয়ার পরেও শিশুটির পরিজনরা তা শোনেন না। এই ঘটনা থেকে স্পষ্ট, সোয়াইন ফ্লু সম্পর্কে মানুষের মনে কোনও স্পষ্ট ধারণা নেই।
সোয়াইন ফ্লু কী?
এটি হলো এমন একটি ভাইরাস যা পশু থেকে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে যায়। বিশেষত শু🌄করের থেকে এই ভাইরাস ছড়ায় মানুষের মধ্যে। তবে আক্ꦚরান্ত ব্যক্তি যদি সময়মতো চিকিৎসা পান তাহলে এটি ভয়ংকর আকার ধারণ করে না। সোয়াইন ফ্লু ধরা পড়লে রোগীকে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা শুরু করতে হবে।
(আরো পড়ুন:বারব꧅ার মূত্রনালীর সংক্রমণ হচ্ছে? এই নিয়মগুলি ﷺমানলে হবে সব সমস্যার সমাধান)
সোয়াইন ফ্লু হলে কেন তাৎক্ষণিক চিকিৎসা প্রয়োজন?
সোয়াইন ফ্লু প্রাণঘাতী রোগের আকার ধারণ করতে পারে না, যদি আপনি সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা শুরু করে দিতে পারেন। আপনার যদি ইমিউন ক্ষমতা কম থাকে, আপন💃ার যদি 🥀ডায়াবেটিস, শ্বাসকষ্ট জনিত রোগ থাকে তাহলে সোয়াইন ফ্লু হলে ফেলে রাখবেন না কোনওভাবে। শারীরিকভাবে দুর্বল ব্যক্তিদের সঠিকভাবে চিকিৎসা না হলে সোয়াইন ফ্লু প্রাণঘাতী হতে পারে।
সোয়াইন ফ্লু - এর উপসর্গ
সোয়াইন ফ্লু হলে অতিরিক্ত জ্বর, ঠান্ডা লাগা, গলা ব্যথা, মাথা ব্যথা, ক্লান্তি, শারীরিক ব্যথা এবং পেশিতে ব্যথার মতো উপসর্গ দেখতে পাওয়া যায়। শিশুদের মধ্যে শ্বাসকষ্ღট, তরল পদার্থ পান করতে না চাওয়া, ফুসকুড়ি সহ জ্ব🍰র, ঘুম থেকে উঠতে সমস্যা হলে বুঝতে হবে সোয়াইন ফ্লু-এর উপসর্গ রয়েছে।
(আরো পড়ুন:সকালের এই ৫ অভ্যাস আপনার শিশুকে কর😼ে দিতে পারে বুদ্ধিমান, জানতেন কি এগুলি)
সোয়াইন ফ্লু - এর প্রতিকার
সোয়াইন ফ্লু উপসর্গ দেখা দিলে নিয়মিত সাবান দিয়ে হাত এবং পা ধুতে হবে। প্রচুর পরিমাণে তরল পান করতে হবে। সুষম খাদ্য আহার করতে হবে। বাড়ির কোনও ব্যক্তির সোয়াইন ফ্লু হলে, তাকে বাড়িতে একটি আলাদা ঘরে রেখে দিতে হবে। সোয়াইন ফ্লু-এর উপসর্গ রয়েছে, এমন কোনও ব্যক্তির থেকে দূরে থাকতে হবে। চিকিৎসকের সঙ্গে সব সময় যোগাযোগ রাখত♔ে হবে🧸।