মুম্বইয়ে নৌবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত এক অফিসারকে মারধর করার যে ঘটনা ঘটেছে, তা একেবারে গ্রহণযোগ্য নয়। লজ্জাজনকও বটে। শনিবার কড়া ভাষায় এমনই প♛্রতিক্রিয়া দিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।
বিকেলের দিকে একটি টুইটবার্তায় প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘নৌবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত অফিসার শ্রী মদন শর্মার সঙ্গে কথা বলেছি। মুম্বইয়ে তিনি গুন্ডাদের হামলার শিকার হয়েছিলেন। তাঁর শারীরিক অবস্থার বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছি। প্রাক্তন নৌসেনা আধিকারিকের উপর এরকম আক্রমণের ঘটনা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য এবং লজ্জাজনক। মদনজির দ্রুত 🌼আরোগ্য কামনা করেছি আমি।’
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের কার্টুন ফরোয়ার্ড করার ‘অপরাধ’-এ শুক্রবার ৬২ বছরের অবসরপ্রাপ্ত নৌস🐻েনা আধিকারিককে বেধড়ক মারধর করা হয়েছিল। সেই ঘটনায় নাম জড়ায় শিবসেনা নেতা কমলেশ কদম ও তাঁর দলবলের। তা নিয়ে রাজ্যজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
চাপের মুখে পড়ে ছ'জনকে গ্রেফতারও করেছিল পুলিশ। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা কাটতেই না কাটতেই দিব♓্যি জামিন পেয়ে যায় শিবসেনা নেতা-সহ সব ধৃতেরা। তা নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন প্রাক্তন নৌসেনা আ🍬ধিকারিকের পরিজনরা। কান্দিভলিতে অ্যাসিসট্যান্ট পুলিশ কমিশনারের অফিসের বাইরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। সেখানে ছিলেন মহারাষ্ট্র বিধান পরিষদের বিরোধী দলনেতা প্রবীণ দাড়েকর-সহ অন্যান্যরা। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৬ ধারা (অস্ত্র ও অন্যান্যভাবে গুরুতর আঘাত করা) এবং ৪৫২ ও ৪৫০ (বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ) ধারায় মামলা রুজু করার দাবি জানান তাঁরা।যা জামিন-অযোগ্য ধারা।

অধিকাংশের অভিযোগ, রাজনৈতিক চাপে লঘু ধারায় মামলা রুজু করেছিল পুলিশ। যদিও মুম্বই পুলিশের জয়েন্ট কমিশনার (আইন-শৃঙ্খলা) বিশ্বাস নাগরে পাটিল সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, 'গতকাল ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৫ ধারায় ছ'জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে তাদের জামিন মꩵঞ্জুর করা হয়েছে। কোনওরকম রাজনৈতিক চাপ ছিল না। আমার মতে, কোনও ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করা না হওয়ায় ৩২৬ ধারা চাপানো যেত না।'