বছরদুয়েকের বেশি সময় ধরে তাঁদের লড়াই চলছে। মাঝে মামলা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তারপরও হাল ছাড়েননি। আবারও নতুন করে শুরু হয়েছে তদন্ত। সেই মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন অন্যতম অভিযুক্ত রিপাবলিক টিভির এডিটর-ইন-চিফ অর্ণব গোস্বামী। তাতে কিছুটা যেন স্বস෴্তি পেয়েছেন ইন্টিরিয়র ডিজাইনার অন্বয় নায়েকের স্ত্রী অক্ষতা এবং মেয়🌳ে আদনিয়া।
বুধবার দুপুরে সাংবাদিকদের অক্ষতা বলেন, 'আমি কোনওদিন ২𒆙০১৮ সালটা ভুলব না। সুইসাইড নোটে আমার স্বামী তিনজনের নাম উল্লেখ করেছিল। কিন্তু তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আমার স্বামীর মৃত্যুর পিছনে অর্ণব গোস্বামী আছেন। প্রত্যেক ভারতীয়ের কাছে আমার অনুরোধ যে কেউ তাঁর🧸 পাশে দাঁড়াবেন না। মহারাষ্ট্র পুলিশ আমাদের সুবিচার করেছে।'
দু'বছরের পুরনো আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার একটি মামলায় বুধবার সকালে রিপাবলিক টিভির এডিটর-ইন-চিফকে গ𝓀্রেফতার করা হয়। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, লোয়ার পারেলে অর্ণবের বাড়িতে যায় পুলিশের একটি দল। অর্ণবের গ্রেফতারির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশের আইজি (কঙ্কন রেঞ্জ) সঞ্জয় মোহিতে। তবে আর কোনও তথ্য দিতে রাজি হননি।
২০১৮ সালের মে'তে আত্মহত্যা করেছিলেন ৫৩ বছরের ইন্টিরিয়র ডিজাইনার অন্বয় নায়েক এবং তাঁর মা꧂ কুমুদ নায়েক। আলিবাগে কবীর গ্রামের বাড়ি থেকে তাঁদের দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। সেই ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন অন্বয়ের স্ত্রী অক্ষতা (৪৮)। তারইমধ্যে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছিল পুলিশ। তাতে অভিযোগ করা হয়েছিল, অর্ণব গোস্বামী, ফিরোজ শেখ এবং নীতেশ সারদার থেকে ৫.৪ কোটি টাকা পেতেন অন্বয়। কিন্তু তা দেওয়া হয়নি। সেজন্য আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন। সেই ঘটনায় অর্ণবদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের 𓂃হলেও উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে মামলা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
তবে তা মেনে নিতে পারেননি অক্ষতা এবং মেয়ে আদনিয়া। আলিবাগ পুলি♐শের বিরুদ্ধে তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ তুলে মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখের দ্বারস্থ হন আদনিয়া। তারপর চলতি বছরের মে'তে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, অন্বয় ও তাঁর মা'র মৃত্যুর ঘটনায় নতুন করে তদন্ত শুরু হবে। যদিও রিপাবলিক টিভির তরফে যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।