উত্তর প্রদেশের ঝাঁসির মহারানি লক্🀅ষ্মীবাঈ মেডিকেল কলেজের নবজাতকদের জন্য নির্ধারি আইসিইউ বিভাগে আগুন লাগে শুক্রবার রাতে। সেই অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ১০ নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও ১৬ জন এই অগ্নিকাণ্ডে আহত হয়েছে। ঘটনা রপর সেখান থেকে মোট ৩৭ জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয় বলে জানা যায়। এই অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে কানꦉপুর জোনের এডিজি অলোক সিং জানিয়েছেন, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এই আগুন লাগে। মৃত শিশুরা সেই সময় ইনকিউবেটরে ছিল। তিনি আরও জানান, ঘটনার সময় ৪৭ জন শিশু সেই ওয়ার্ডে ভর্তি ছিল। এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর ঝাঁসির ডিআইজি কলানিধি নৈথানিও জানান, মৃতরা সকলেই শিশু এবং আরও ১৬ জন আহত হয়েছেন।
এই দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে ঝাঁসির জেলাশাসক বলেন, 'রাত সাড়ে ১০টা থেকে ১০টা ৪৫ মিনিটের মধ্যে এনআইসিইউ ইউনিটের ভিতরে শর্ট সার্কিট হয়। এই আবহে ইউনিটের দরজার কাছে থাকা শিশুদের আগে উদ্ধার করা হয়। এদিকে ইউনিটের ভেতরের দিকে থাকা অনেককেও উদ্ধার করা হয়। তা সত্ত্বেও দ🌌ুর্ভাগ্যজনকভাবে এখনও পর্যন্ত ১০ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ফায়ার ব্রিগেড এবং উদ্ধারকারী দল তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয় এবং অনেক শিশুকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। আমরা গুরুতর আহতদের চিকিৎসাসেবা দিচ্ছি। ডিউটি স্টাফরাও জানিয়েছেন, শর্টꦗ সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে।'
এদিকে এই অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যান উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী ব্রজেশ পাঠক। সেখানে গিয়ে সাংবাদিকের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, 'ফেব্রুয়ারিতেই এখানে ফায়ার সেফটি অডিট করা হয়। জুন মাসে একটি মক ড্রিলও🦂 করা হয়েছিল এখানে। এরপরও কীভাবে এই ঘটনা ঘটল এবং কেন ঘটল, তদন্ত রিপোর্ট আসার পরই আমরা এ বিষয়ে কিছু বলতে পারব... মৃত নবজাতকদের মধ্যে ৭টি মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। ৩টি লাশ এখনও শনাক্ত করা যায়নি... মৃত এবং আহ✅ত নবজাতকদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।'
অপরদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা লিখে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এই বিষয়ে তিনি লেখেন, 'ঝাঁসি জেলার মেডিক্যাল কলেজের এনআইসিইউ-তে দুর্ঘটনায় শিশুদের মৃত্যু অত্যন্ত দুঃখজনক ও হৃদয়বিদারক। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধার অভিযান চালাতে জেলা প্🦩রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর⛦্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভগবান শ্রীরামের কাছে প্রার্থনা করি, তিনি যেন মৃতদের আত্মাকে শান্তি দেন। এবং ঈশ্বরের কাছে আমার আরও কামনা, যাতে আহতরা দ্রুত আরোগ্য লাভ করেন।'