২০১২ সালের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হওয়া তিনজনকে কয়েকদিন আগেই খালাস করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। এবার সুপ্রিম কোর্টের সেই রায়ের বিরোধিতায় রিভিউ পিটিশন দাখিল করবে দিল্লি সরকার। ইতিমধ্যেই এর জন্য দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নরের অনুমোদ পেয়েছে দিল্লি সরকার। উল্লেখ্য, উত্তরাখণ্ডের এক মহিলাকে নৃশংস ভাবে ধর্ষণ ও খুন করার ঘটনায় তিনজনকেই মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনানো হয়েছিল দিল্লির এক আদালতের তরফে। সেই সেই নির্দেশের বিরোধিতায় দিল্লি হাই কোর্টে গিয়েছিল অভিযুক্তরা। সেখানেও নিম্ন আদালতের মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ বহাল থাকে। পাশাপাশি সেই তিনজনকে ‘শিকারি’ বলে আখ্যা দিয়েছিল উচ্চ আদালত। এহেন অভিযুক্তদের মুক্তি দেওয়ার ঘটনায়🍌 কড়া প্রতিক্রিয়া এসেছে সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকে।
তবে কী কারণে মুক্তি দেওয়া হল এই তিনজনকে? নির্দেশে শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, আপিলকারী-অভিযুক্তদের ‘বেনিফিট অফ ডাউট’ দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে করা অভিযোগ থেকে খালাস দেওয়া হয়। সুপ্রিম কোর্ট বলে, ‘♔এই মামলার তদন্ত ও🅺 বিচারে সুস্পষ্ট ত্রুটি রয়েছে।’ মামলার রায়দানের সময় শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘অভিযুক্তরা ন্যায় বিচারের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। দোষীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে ব্যর্থ পুলিশ।’
💖 সুপ্রিম কোর্ট আরও বলেছিল, ‘এই মামলায় ১০ জন গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। এই ঘটনায় ৪৯ জন সাক্ষী ছিলেন। তবে তাঁদের মধ্যে ১০ জনকেই ট্রায়ালে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। কোনও সাক্ষী অভিযুক্তদের শনাক্ত করেননি। টিআই প্যারেড করানো হয়নি।’ এছাড়া ডিএনএ-র নমুনা সংগ্রহের নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে শীর্ষ আদালত।
উল্লেখ্য, নির্ভয়াকাণ্ডের একমাস আগে ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এক ১৯ বছর বয়সি তরুণীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছিল। সেই তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল হরিয়ানার রিওয়ারি জেলায় একটি ফাঁকা মাঠ থেকে। সেই ঘটনায় অভিযুক্ত হন রবি কুমার, রাহুল এবং বিনোদকে ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে দিল্♋লির একটি আদালত অপহরণ, ধর্ষণ এবং হত্যার ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত করে। মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনানো হয়েছিল। দিল্লি হাই কোর্ট সেই রায়কে বহাল রাখে। তবে সেই ঘটনার দশবছর পর সুপ্রিম কোর্ট তিনজকেই বেকসুর খালাস করে।