বিহারে বজ্রপাতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মৃত্যু হল ২১ জনের। শুক্রবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ের তরফে বিবৃতি জারি করে এ কথা জানানো হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বিহারের মধুবনি জেলায়। একদিনে এতজনের মৃত্যুর ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই সাড়া ফেলে দিয়েছে বিহারে। এমন মর্মান্তিক ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার মৃত্যুতে শো🐼ক প্রকাশ করার পাশাপাশি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন।
আরও পড়ুন: খুব সাবধান! বাজ পড়ে ১১জনের মৃত্যু, ভয়াবহ কাণ্൲ড মালদায়, ঘরে ঘরে কান্নার রোল!
প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, মধুবনি জেলায় বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। এরপরেই ঔরঙ্গাবাদ জেলায় বজ্রপাতে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়েছে। এই জেলায় চার।জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া, পাটনায় দু’জন এবং রোহতাস, ভোজপুর, কাইমুর, সারান, জেহানাবাদ, গোপালগঞ্জ, সুপল, লক্ষ্মীসরাই 🐈এবং মাধেপুরা জেলায় একজন করে মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, একটি গ্রামে মাঠে চাষ করার সময় বজ্রপাতে ২ কৃষক ঘটনাস্থলেই মারা যান। এছাড়াও একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ডোমরিয়া নামে অন্য একটি গ༺্রামে বজ্রপাতে ২ জন মহিলার মৃত্যু হয়েছে এবং একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। অন্যদিকে, ভোজ♏পুর জেলায় একটি স্কুলে বজ্রপাতে ১৮ জন ছাত্র আহত হয়েছে। সৌভাগ্যক্রমে এই ঘটনায় কোনও প্রাণহানি ঘটেনি। আহত ছাত্রদের নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে ২ জনকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে।
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এতজনের মৃত্যুর ঘটཧনায় শোক প্রকাশ করে পরিবারের প্রতি𒐪 সমবেদনা জানিয়েছেন। একই সঙ্গে মৃতদের পরিবারকে চার লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। আহতদের জন্য সরকারি অর্থে চিকিৎসার আশ্বাস দিয়েছেন।
এদিকে, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া নিয়ে সাধারণ মানুষকে সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছেন নীতিশ কুমার। বজ্রপাত এবং খারাপ আবহাওয়ার প্রভাব থেকে নিজেদের বাঁচাতে রাজ্যের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ যে সমস্ত পরামর্শ জারি করেౠ থাকে সেꦬগুলি অনুসরণ করার জন্য সাধারণ মানুষকে আবেদন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বজ্রপাতের হাত থেকে বাঁচতে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার সময় বাড়ির ভিতরে থাকার আবেদন জানিয়েছেন নীতিশ।