সেন্ট্রাল কনজিউমার প্রটেকশন অথরিটি মালুকা আইএএস কোচিং ইনস্টিটিউটের উপর ৩ লাখ টাকা জরিমানা আরোপ করেছে। ইউপিএসসি সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা ২০২২-এ র আগে তাদের তরফ থেকে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছিল যে এই ইনস্টিটিউটে পড়াশোনা করল সাফল্য আসবেই। মূলত পড়ুয়াদের প্রলোভন দেওয়ার জন🌊্যই এই বিশেষ পদ্ধতি নেওয়া হয়েছিল। তার জেরেই এনিয়ে খোঁজখবর নেওয়া শুরু করে সংশ্লিষ্ট নজরদারি সংস্থা। এরপরই এনিয়ে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হল।
ওই সংস্থার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল যে তাদের অন্তত ১২০জন পড়ুয়া তাদের ইনস্টিটিউটে পড়াশোনা করে বিরাট সাফল্য পেয়েছে। সিসিপিএ জানিয়েছে, এটা নিশ্চিত করা হয়েছে যে এই ধরনের বিজ্ঞাপনের জেরে সমস্যায় 🍌পড়ে যেতে পারেন পড়ুয়ারা। সেকারণেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এই ধরনের মিথ্যে ও বিভ্রান্তিমূলক বিজ্ঞাপন যাতে দেওয়া না হয় সেটা বলা হয়েছে।
কনজিউমার প্রটেকশন অ্যাক্ট ২০১৯ অনুসারে ওই ইনস্টিটিউটকে জরিমানা করা হয়েছে। সিসিপিএর চিফ কমিশনার নিধি খারে জানিয়েছেন, সিসিপিএ বুঝতে পারে যে ইনস্টিটিউটের তরফে নানা ধরনের বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল। মূলত কোর্স সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল।কিন্তু সেখানে যে ছবি ব্যবহার করা হয়েছিল তারা কী ধরনের কোর্স করেছেন সেটা উল্লেখ করা হয়নি।
এদিকে সিসিপিএর তরফ থেকে একটি নোটিশ জারি করা হয়েছিল। সেই নোটিশের জবাবে মালুকা আইএএস ১৩৬জন সফল প্রার্থীর নাম উল্লেখ করে। কিন্তু দেখা যায় তার মধ্য়ে মাত্র দুজন তাদের কাছ থেকে টাকার বিনিময়ে কোর্স মেটিরিয়ালꦛ ক্রয় করে পড়াশোনা করেছেন। বাকিরা কেবলমাত্র ফ্রি ইন্টারভিউ গাইডে🎉ন্স কোর্সটি করেছেন। সেটা একেবারেই বিনামূল্যে। আর তাদের ছবি ছাপিয়েও ব্যবসা করছিল সংস্থা। সেকারণে এবার কড়া ব্যবস্থা নিল ক্রেতা সুরক্ষা কর্তৃপক্ষ।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই সফলতার পেছনে আসল ব্যাপারটি কী রয়েছে সেটা জানꦰায়নি সংস্থা। বিজ্ঞাপনে যে কোর্সের কথা বলা হয়েছে যে ছবিগুলি ছাপা হয়েছিল তাতে আসল কথা বলা হয়নি। এইভাবেই তারা ক্রেতাদের বিভ্রান্ত করে বলে অভিযোগ।
এদিকে বিজ্ঞাপনে প্রলোভনে ভুলে গিয়ে অনেকেই নানা ধরনের কোর্স করে। চাকরির নানা কোর্স করে তারা। তবে বিজ্ঞাপন দিয়ে এই ধরনের কোর্স করানোর লোভ দেখানো হ♏য়। কিন্তু বাস্তলে তা কতটা কাজ করে, বাস্তবের সঙ্গে বিজ্ঞাপনের অনেকটাই ফাঁক থেকে যায়।