ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (ESA) বলেছে, একটি অকেজো মহাকাশযান ‘এয়োলাস’ কার্যক্ষমতা হারিয়ে ধেয়ে আসছে পৃথিবীর দিকে🦂। এই মহাকাশযানটির আকার একটি ছোট গাড়ির আকারের সমান। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের সংস্পর্শে এটি আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। ESA বলেছে, ১.৩ টন ওজনের এয়োলাস স্যাটেলাইটটির জ্বালানি শেষ হয়ে যাচ্🏅ছে এবং দিনে ১ কিলোমিটার বেগে পৃথিবীর দিকে এগিয়ে আসছে সেটি।
এয়োলাসের বেশিরভাগ অংশ বায়ুমণ্ডলে পুড়ে যাবে, তবে কিছু ধ্বংসাবশেষ সম্ভবত জুলাইয়ের শেষ বা অগস্টের শুরুতে পৃথিবীর পৃষ্ঠে এসে পৌঁছাবে, অনুমান করছেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। ESA স্যাটেলাইটের অভ্যন্তরে অবশিষ্ট জ্বালানি ব্যবহার করে গ্রহের দূরবর্তী অংশের দিকে মহাকাশযানটিকে চালিত করার চেষ্টা করবে। এই প্রথম ESA এই ধরনের একটি প্র⛄চেষ্টা করবে⛦ বলে জানা যাচ্ছে।
এয়োলাস স্যাটেলাইটটি পাঁচ বছর ধরে ৩২০ কিলোমিটার উচ্চতায় পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করেছে। একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে এ𒁃য়োলাস আবহাওয়ার পূর্বাভাস উন্নত করতে বায়ুমণ্ডলে পরী𒅌ক্ষা নিরীক্ষা করেছে।
যাইহোক, এই স্যাটেলাইটটির জ্বালানি প্রায় শেষ হয়ে গেছে এবং পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ এবং সৌর ক্রিয়াকলাপের কারণে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল মহাকাশযানটিকে ꦅনীচের দিকে টেনে নিয়ে নামচ্ছে।
এই যানটি ২৮০ কিমি উচ্চতায় পৌঁছানোর পর জার্মানি থেকে বেশ কয়েকদিন ধরে একটি ধারাবাহিক কৌশল চালানো হবে এবং এটিকে ১৫০ কিলোমিটারের নীচের কক্ষপথে নামতে বাধ্য করবে। স্কাই নিউজ রিপোর্টে বলা হযꦫ়েছে যে ট্র্যাজে꧑ক্টোরির একটি শেষ পরিবর্তন এয়োলাসকে স্থলভাগ ও আবাসিক এলাকা থেকে অনেক দূরে সমুদ্রে ডুবে যেতে সাহায্য করবে।
এই বছরের শুরুতেও নাসার একটি মৃত স্যাটেলাইট পৃথিবীত ফিরে আসে। আর্থ রেডিয়েশন বাজেট স্যাটেলাইট বা সংক্ষেপে ইআরবিএস মহাকাশে পাঠানো হয়েছিল ১৯৮৪ সালে। দীর্ঘ ৩৯ বছর বছর পৃথিবীতে ফিরছে এই কৃত্রিম উপগ্রহ। ১৯৮৪ সালের ৫ অক্টোবর পৃথিবী থেকে মহাকাশের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছিল ইআরবিএস। নাসার একটি বিশেষ অভিযানের অংশ ছিল এই উপগ্রহ। এটি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করেই জ্বলে গিয়েছিল💜 অধিকাংশই। এয়োলাসের ক্ষেত্রে কী হয়, সেটাই এখন দেখার। বাস্তবে প꧂ৃথিবী বায়ুমণ্ডলের ওপরের দিকের স্তর ম্যাগনেটোস্ফিয়ার, এক্সোস্ফিয়ারের উষ্ণতা অত্যন্ত বেশি। দাহ্য গ্যাসের উপস্থিতিতে তাই ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় ফিরতি স্যাটেলাইটগুলি।ইউরোপের মহাকাশ বিজ্ঞানীরা চেষ্টা করছেন মৃত স্যাটেলাইটের ধ্বংসাবশেষ বসতি অঞ্চল থেকে যথা সম্ভব দূরে নিয়ে ফেলতে।