🦂মধ্যপ্রদেশের প্রয়াগরাজে ব্রিটিশ হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ জন ক্যাম ছদ্মনামে কর্মরত এক ভুয়ো চিকিৎসককে গ্রেফতার করা হল মধ্যপ্রদেশে।
🌺ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের দামোহের একটি খ্রিস্টান মিশনারি হাসপাতালে, যেখানে ওই ব্যক্তি, যার আসল নাম নরেন্দ্র বিক্রমাদিত্য যাদব, ভুয়ো পরিচয়ে কাজ করছিলেন।
দামোহের পুলিশ সুপার শ্রুত কীর্তি সোমবংশী সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন, অভিযুক্ত চিকিৎসক🌊 নরেন্দ্র জন ক্যামকে আমাদের দল প্রয়াগরাজ থেকে গ্রেফতার করেছে। তাকে দামোহে নিয়ে আসা হচ্ছে।
🐓পুলিশ যাদবের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও জালিয়াতির পাশাপাশি গাফিলতির জন্য একটি পৃথক মামলা দায়ের করেছিল। জেলা কালেক্টর এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশন (এনএইচআরসি) এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করছে।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এই ঘটনার তদন্ত করছে
😼ডঃ জন ক্যামের ছদ্মবেশে যাদব জানুয়ারি মাসে দামোহের মিশন হাসপাতালে যোগ দিয়েছিলেন এবং সেখানে কাজ করার দেড় মাসের মধ্যে সাতজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়।
෴আইনজীবী তথা চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির জেলা সভাপতি দীপক তিওয়ারি জানিয়েছেন, যাদব কয়েক ডজন অস্ত্রোপচার করেছেন, তাঁর তত্ত্বাবধানে মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।
🥂চলতি বছরের গোড়ার দিকে তিওয়ারি যাদবের তত্ত্বাবধানে ঘটে যাওয়া খুনের বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন, যখন এক রোগীর আত্মীয়রা তাকে বলেছিলেন যে ডাক্তার ভুয়ো এবং তার কাছে কোনও সঠিক নথি বা প্রমাণপত্র নেই।
♎জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য প্রিয়াঙ্ক কানুনগোর নেতৃত্বে একটি দল ঘটনাটি তদন্ত করতে এবং দায়ীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে ৭ এপ্রিল দামোহ পৌঁছায়।
🌳প্রিয়াঙ্কা কানুনগো বলেন, 'আমরা অভিযোগ পেয়েছি যে মিশনারি হাসপাতালে একজন ভুয়ো চিকিৎসক রোগীদের অস্ত্রোপচার করেছেন। আমাদের আরও বলা হয়েছিল যে মিশনারি হাসপাতালটিও আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের সাথে জড়িত এবং এর জন্য সরকারের কাছ থেকে অর্থ নিচ্ছে। এটি একটি গুরুতর অভিযোগ; আমরা বিষয়টি তদন্ত চলছে।
✨এদিকে গোটা ঘটনাকে ঘিরে নানা প্রশ্ন উঠছে। ওই ব্যক্তি কীভাবে ওই মিশনারি হাসপাতালে কাজ পেয়েছিলেন তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।