এতদিন জিএসটির বাꦺৎসরিক অডিট করতে হত চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ফার্মগুলির মাধ্যমে। গুডস অ্যান্ড সার্ভিস ট্যাক্স (জিএসটি) সংস্থাগুলির বাৎসরিক আয় ব্যয়ের হিসাব খতিয়ে দেখত চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ফার্মগুলি। তারপর তারা সংস্থার নামে শংসাপত্র জারি করত। দেশজুড়ে প্রায় ১০ কোটি এমন সংস্থা রয়েছে, যারা এই অডিট সংক্রান্ত কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। তাদের জন্য বাৎসরিক ৩০ হাজার কোটি টাকা খরচ হচ্ছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই বিপুল পরিমাণের আর্থিক দায়ভার কমাতে এবার সংকোচনের পথে হাঁটল কেন্দ্র সরকার। যা নিয়ে ঢি ঢি পড়ে গিয়েছে।
এই বিষয়ে অভিজ্ঞ দু’জন আধিকারিক জানান, এই বছরের পেশ করা বাজেটে বাধ্যতামূলক বাৎসরিক এই অডিট প্রক্রিয়া তুলে নেওয়ার বিষয়ে প্রস্তাব রাখা হয়েছে। তারা বলছেন, ২০২১ সালের বাজেটে এই আইনটিকে পরিবর্তন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে যা শীঘ্রই নোটিফিকেশনের মাধ্যমে জানানো🐲 হবে। এই বিষয়ে এক আধিকারিক বলেন, ‘এর কারণ হিসেবে সরকারের ব্যাখ্যা, প্রত্যেক বছর ছোট ছোট ব্যবসায়ীদের জিএসটি অডিট করতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। এই পেশার মানুষদের অডিটিংয়ের ফি দিতে হয় ওই ব্যবসায়ীদের। ছোট ছোট ব্যবসার ওপর থেকে যাতে এই আর্থিক দায়ভার কমানো যায়, সেজন্য এই উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।’
অন্য আরেক আধিকারিক জানিয়েছেন, গত বছর মার্চ মাসেই জিএসটি কাউন্সিল এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করার উদ্যোগ নিয়েছিল। কিন্তু করোনা মহামারীর জেরে সেই সিদ্ধান্তটি বাস্তবায়িত করা যায়নি। দ্বিতীয় আধিক💞ারিক🦋 আরও জানান, নিজের প্রদান করা শংসাপত্র এই ফার্মগুলির শংসাপত্রের প্রয়োজনীয়তাকে খারিজ করে দিয়েছে। জিএসটি রিটার্নের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে এইসব সংস্থাগুলি যখন করদাতাদের গরমিল তুলে ধরে তখন সেই কর আর উদ্ধার করা সম্ভব হয় না। সে ক্ষেত্রে করদাতা ও কর প্রদানের মধ্যে একটি শূন্যতা তৈরি হয় তার ফলে করদাতাদের জরিমানা পর্যন্ত দিতে হয়।
আইসিএআই–এর সভাপতি নিহার এন জাম্বুস🦂ারিয়া বলেন, ‘আমরা জিএসটি আইন অনুযায়ী একজন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টকেএই কাজের জন্য দায়িত্ব দিয়ে থাকি। জিএসটির কাজ দ্রুত মেটানোর জন্য একজন অভিজ্ঞ পেশাদারের প্রয়োজন হয়। তাছাড়া জিএসটি আইনের আওতায় বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে রেভিনিউ খুঁজে বের করা হয়। সে কারণে নথিপত্রগুলি একজন নথিভূক্ত চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্টকে দিয়েই করানো উচিত।’