বাংলাদেশে ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার হত্যা মামলায় জেল থেকে ছাড়া পেলেন আল কায়দা অনুপ্রাণিত নিষিদ্ধ সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) প্রধান মুফতি মুহাম্মদ জসিমউদ্দিন রাহমানি। এর আগে নিম্ন আদালত তাকে কারাদণ্ড দিয়েছিল। এতদিন তিনি বাংলাদেশের জেলেই ছিলেন। জামিন পাওয়ার পরেই সোমবার বাংলাদেশের গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কা🍸রাগার থেকে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: আল কায়েদা ও এবিটি🧜 জঙ্ꦆগি সন্দেহে ২ জন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করল অসম পুলিশ
ডেপুটি জেলার রেজাউল করিম বলেন, ‘জামিনের কাগজপত্র যাচাই করার পর তাকে জে💛ল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।’ তবে তার মুক্তি নিয়ে সরকারি আইনজীবী এবং সন্ত্রাসবিরোধী আধিকারিকরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাদের বক্তব্য, রাহামানি একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি। তার মুক্তির দলে সন্ত্রাসবাদের ঘটনা বাড়াবে। এছাড়াও সন্ত্রাসবিরোধী আইনে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার বিচারে বাধা সৃষ্টি করবে।
উল্লেখ্য, ব্লগার রাজীবকে ২০১৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পলাশনগরে তার বাড়ির সামনে কুপিয়ে হত্যা🐷 করা হয়। সেই ঘটনায় তাঁর বাবা পল্লবী থানায় খুনের মামলা দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে তদন্তে নেমে পুলিশ ২০১৩ সালের ১২ অগস্ট রাহমানিকে বরগুনা থেকে গ্রেফতার করে। এরপর ঢাকার একটি আদালত তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়। এই মামলায় তিনি সাজা পূর্ণ করেছেন।
এই মামলা ছাড়াও সন্ত্রাসবিরোধী আইন ও 🦋আইসিটি আইনে মোট ৫টি মামলার আসামি তিনি। যার মধ্যে মহম্মদপুর থানায় দুটি, গুলশান থানায় একটি, বরগুনা সদর থানায় একটি এবং উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা রয়েছে। দুটি মামলায় ২০২০ এবং ২০২২ সালে ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল থেকে তাকে জামিন দেওয়া হয়েছিল। ২০২২, ২০২৩ এবং ২৪ সালের জানুয়ারিতে অন্য তিনটি মামলায় তাকে জামিন দেওয়া হয়েছিল।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০৮ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি উত্তরা পশ্চিম থান♊ায় তার ব♐িরুদ্ধে দায়ের করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আরও একটি মামলায় রাহমানির জামিন মঞ্জুর করা হয়। তার বিরুদ্ধে থাকা অন্যান্য মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এদিকে, ২০১৫ সালের মে মাসে তৎকালীন বাংলাদেশ সরকার জঙ্গি ও রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপের জন্য এবিটি-কে নিষিদ্ধ করেছিল। এছাড়াও, ব্লগার ও লেখক অভিজিৎ রায়, ওয়াসিকুর রহমান বাবু ও অন﷽ন্ত বিজয় দাস হত্যা এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞানের অধ্যাপক একেএম শফিউল ইসলাম হত্যায়ও দায় স্বীকার করেছিল এই দলটি।