আরও একটি দেশে ধাক্কা খেল আদানিদের প্রজেক্ট। বাংলাদেশে বকেয়া ইস্যু, কেনিয়ায় সরকারের তরফে প্রজেক্ট বাতিল, মার্কিন মুলুকে ঘুষ কাণ্ডের অভিযোগ ঘিরে বিতর্কের মাঝে এবার খবরে আদানিদের শ্রীলঙ্কার বায়ু বিদ্যুৎ প্রজেক্ট। সদ্য় আদানি গ্রিন এনার্জির তরফে ঘোষণা করা হয়েছে যে, শ্রীলঙ্কায় তাদের যে দুটি বায়ুবিদ্যুৎ প্রজেক্ট রয়েছে, তা থেকে তারা সরে আসছে। উল্লেখ্য, বেশ কিছু দিন ধরেই আদানিদের এই শ্রীলঙ্কার প্রজেক্ট ঘিরে নানান পর্ব সামনে আসছ♛িল। এদিন আদানি গ্💎রিনের তরফে বিবৃতি প্রকাশ করে প্রজেক্ট থেকে সরে আসার ঘোষণা করা হয়।
আদানিদের তরফে জানানো হয়েছে, 'আমাদের এক্সিকিউটিভরা সিলন ইলেকট্রিসিটি বোর্ডের অফিসার ও কলম্বোতে মন্ত্রক (শ্রীলঙ্কার)র অফিসারদের সঙ্গে কথা বলেছেন। জানা গিয়েছে, মন্ত্রিসভা একটি নিগোশিয়েশন কমিটি (মধ্যস্থতা কমিটি) ও প্রজেক্ট কমিটি (প্রকল্প কমিটি) গঠন করেছে, যারা প্রজেক্টের প্রস্তাব পুনরায় বিবেচনা করবে।' এরই সঙ্গে আদানি গোষ্ঠী বলেছে, ‘ এই ঘটনা আমাদের সংস্থার 🤡বোর্ডকে চালিত করেছে এবং সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে সংস্থা সম্পূর্ণভাবে শ্রীলঙ্কার সার্বভৌমত্বকে সম্মান করবে, এর পছন্দ অপছন্দকে সম্মান করবে, এবং সংস্থা সম্মানজনকভাবে ওই প্রকল্প থেকে নিজেকে সরিয়ে নেবে।’ প্রসঙ্গত, ব্লুমবার্গের রিপোর্ট বলছে, শ্রীলঙ্কা সরকারের সঙ্গে বিদ্যুতের দাম নিয়ে মূল জটিলতা শুরু হয় আদানি গোষ্ঠীর। আদানিদের সঙ্গে বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্প ও বিদ্যুৎ সরবরাহ-সহ মোট দু’টি চুক্তি সাক্ষর করেছিল শ্রীলঙ্কার সরকার। কিন্তু চড়া দামে আদানিদের বিদ্যুৎ বিক্রির বিরোধিতার সুর শোনা যায় দিশানায়কের সরকার শ্রীলঙ্কার গদিতে আসার পর। জানা যা চ্ছে, দিশানায়েকে সরকার ৬ ইউএস সেন্টের নিচে বিদ্যুতের দামকে রাখতে চাইছে। এদিকে, তাঁর সরকারের আগের সরকার এই বিদ্যুৎ ৮.২৬ ইউএস সেন্টে কিনতে সম্মত হয়েছিল বলে রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে। উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বর মাসে শ্রীলঙ্কায় নির্বাচিত হয়ে প্রেসিডেন্ট হন বাম নেতা অনুরা দিশানায়েকে। তাঁর সরকার আসার পরই আদানিদের বরাতপ্রাপ্ত প্রকল্প নিয়ে নতুন করে পর্যালোচনা শু✱রু হয়। প্রকল্পের বরাত বাতিল হতে পারে বলেও হুঁশিয়ারি ছিল। শ্রীলঙ্কার উত্তরের মান্নর এবং পুনারিনে ৪৮৪ মেগাওয়াটের পুনর্ব্যবহারযোগ্য বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্পের বরাত পেয়েছিল আদানিদের সংস্থা। বিনিয়োগের অঙ্ক ছিল কয়েক হাজার কোটি। ২০২২ সালে আদানিদের ওই প্রকল্পের বরাত দিয়েছিল তৎকালীন শ্রীলঙ্কার মসনদে থাকা গোতবায়া সরকার। সেই বরাত নিয়েও বিতর্ক কম হয়নি। এছাড়াও আদানিদের এই প্রজেক্ট নিয়ে আরও বেশ কিছু প্রশ্ন ওঠে। প্রজেক্টের প্রভাব স্থানীয় ‘পাখিদের করিডর’এ কতটা পড়বে, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এছাড়াও স্থানীয় মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের ওপর প্রভাব নিয়েও নানান সমালোচনার সুর শোনা যায়।
প্রকল্পের আগে, প্রা✃ক পরিকাঠামো ক্ষেত্রে আদানি গ্রিন খরচ করেছে ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই পরিস্থিতিতে তারা সেদেশ থেকে এই প্রকল্প সরিয়ে আনছে। তবে আদানিরা তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘… তবে এরফলে শ♒্রীলঙ্কার সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করা হচ্ছে এমনটা নয়। আগামী দিনে সেই দেশের সরকারের সঙ্গে আমরা কাজ যে কোনও উন্নয়নমূলক করতে আগ্রহী।’