এবার লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল সাংসদ ইউসুফ পাঠানের কাছে পরাজিত হয়েছেন অধীর চৌধুরী। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ ছাড়তে হয়েছে অধীরকে। তারপরেই ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা নির্বাচনে অধীরকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। তাঁকে ঝাড়খণ্ডের নির্বাচনী𓃲 অবজার্ভার করা হয়েছিল। লোকসভায় ব্যর্থ হলেও ঝাড়খণ্ডের পরীক্ষায় পাশ করলেন অধীর।
আরও পড়ুন: জোটরক্ষা করতে অধীরের ফোন গেল বিমানের কাছে, ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচন নি༺য়ে কথা
ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা নির্বাচনে জেএমএম, আরজেডি, কংগ্রেস এবং বামেদের জোটের সামনে ধরাশয়ী হয়েছে বিজেপি। ৮১𝔉 টি আসন বিশিষ্ট ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনে গেরুয়া শিবির সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়লেও তাতে লাভ হয়নি। ইন্ডিয়া জোট পেয়েছে ৫৬টি আসন। ২৯টি আসনের প্রার্থী দিয়েছিল কংগ্রেস। তারমধ্যে ১৬টিতে জয়ী হয়েছেন দলের প্রার্থীরা। উল্লেখ্য, ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনে তিনজন পর্যবেক্ষককে দায়িত্ব দিয়েছিলেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। সেই তালিকা﷽য় জায়গা পেয়েছিলেন অধীর চৌধুরী।
এছাড়াও লোকসভার সদস্য তারিক আনোয়ার, ভাট্টি বিক্রমার্ক মাল্লুকে সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটি ঝাড়খণ্ডে নির্বাচনী পর্যবেক্ষক হিসাবে নিযুক্ত করেছিল। নির্বাচনী অবজারভারের দায়িত্ব পাওয়ার পরেই অধীর ঝড়খণ্ডের বিভিন্ন জায়গায় কংগ্রেসের হয়ে প্রচার চালিয়েছিলেন। এর পাশাপাশি ভোট ম্যানেজমেন্টের দায়িত্ব ছিল তাঁর কাঁধে। প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। ধানবাদ, বোকারো, পাকুড় সহ একাধিক জায়গায় ভোট প্রচౠার এবং ম্যানেজমেন্টের দায়িত্বে ছিলেন অধীর। শুধু কংগ্রেস নয়, জোট প্রার্থীদের সমর্থনেও তিনি প্রচার করেছেন। তবে এজন্য নিজেকে কৃতিত্ব দিতে নারাজ প্রাক্তন সাংসদ।
অধীর জানান, সেখানে সবাই ছিলেন। হেমন্ত সোরেনের নেতৃত্বে ভোট হয়েছে। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে মানুষের সমর্থন ভোট বাক্সের প্রতিফলিত হয়েছে। তবে ঝাড়খণ্ডে আরও ভালো ফল করা যেতে বলে মনে করেন অধীর। তিনি জানান প্রার্থী বাছাই নিয়ে বিভ্রান্তি, দেরি হওয়ার ফলে বেশকিছু আসন হারাতে হয়েছে কংগ্রেসকে। তা নিয়ে নেতৃত্ব জানতে চাইলে আগামী দিনে তিনি রিপোর্ট দেবেন বলে জানিয়েᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚছেন।&nbs💦p;
উল্লেখ্য, ঝাড়খণ্ডে সর্বশক্তি দিয়ে বিধা🌱নসভা নির্বাচনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল বিজেপি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু কর🐻ে অগ্নিমিত্রা পাল সেখানে ভোট প্রচারে গিয়েছিলেন। এছাড়াও, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের মতো শীর্ষ নেতৃত্ব বারবার ঝাড়খণ্ডে ভোট প্রচারে গিয়েছেন। সে ক্ষেত্রে মূলত বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ, এনআরসি ইস্যু নিয়ে সরব হয়েছিল বিজেপি।