এখন উৎসবের মরশুম চলছে। দুর্গাপুজো শুধুꦚ বাংলায় হচ্ছে এমন নয়। অন্যান্য রাজ্যে তথা নয়াদিল্লিতেও হচ্ছে। আর দু’দিন পর তা শেষ হয়ে যাবে। তারপর গোটা দেশজুড়ে পালিত হবে দীপাবলি। এই পরিস্থিতিতে দিল্লির পরিবেশমন্ত্রী গোপাল রাই কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি লিখলেন। ওই চিঠিতে তিনি কেন্দ্রীয় সরকারকে জানিয়েছেন, জরুরি ভিত্তিতে বৈঠক ডাকতে। সমস্ত অংশীদারকে ডেকে ‘ক্ল🐠াউড সিডিং’ করার অনুমতি দিতে বলা হয়েছে ওই চিঠিতে। যাতে শীতের সময় বৃদ্ধি পাওয়া বায়ুদূষণ কমানো যায়। দিল্লির বুকে দূষণ একটা বড় সমস্যা। প্রত্যেক বছরই দেখা যায় অন্যান্য রাজ্যের থেকে রাজধানীতে দূষণের মাত্রা বেশি।
ওই চিঠিতে দিল্লির পরিবেশমন্ত্রী গুরুত্ব দিয়েছেন বায়ুদূষণ নিয়ে। এই বিষয়ে অন্যান্য যে সংস্থাগুলি কাজ করে তাদের থেকে উপযুক্ত ছাড়পত্র নিয়ে ‘ক্লাউড সিডিং’ প্রযুক্তিকে কার্যকর করা হোক। এই বিষয়ে দিল্লির পরিবেশ মন্ত্রী গোপাল রাই কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদবকে চিঠিতে লিখেছেন, ‘আমরা ইতিমধ্যেই একমাস দেরি করে ফেলেছি। দিল্লিতে ‘ক্লাউড সিডিং’ প্রযুক্তি নিয়ে আসার প্রচেষ্টা করা দরকার। নভেম্বর মাস থেকেই দিল্লির বাতাসের মান পড়তে থাকবে। তাই আমি আবার অনুরোধ করছি আপনাকে দ্রুত বৈঠক ডেকে𝓰 সবার সঙ্গে কথা বলা হোক।’
আরও পড়ুন: কার টাকায় সঞ্জয় রায় মদ খেয়েছিল? আরজি কাণ্ডে সিবিআই চার্জশিটে নয়া মোড়
দিল্লির সরকার গতবছর ‘ক্লাউড সিডিং’ প্রযুক্তি কাজে লাগাবার চেষ্টা করেছিল। যাতে দূষণকে ঠেকানো যায়। তাই আইআইটি কানপুরের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে চর্চা হয়েছিল। কিন্তু বিষয়টি এগোয়নি। কারণ কেন্দ্রীয় সরকারের ঢিলেমির জন্য তা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়নি। কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির পক্ষ থেকে উপযুক্ত ছাড়পত্র মেলেনি। এই ক্লাউড সিডিংয়ের মাধ্যমে কৃত্রিম বৃষ্টিপাত ঘটানো যায়। তাতে বাতাসে থাকা দূষণকে মুছে ফেলা যায়। এটা অস্থায়ী একটা সমাধান হলেও দিল্লির বুকে ♔তৈরি হওয়া বায়ুদূষণকে ঠেকানো যায়। কুয়াশার সমস্যাও মেটে বলে চিঠিতে উল্লেখ ক🌜রা হয়েছে।
দীপাবলিতে বাজি পুড়বে। তার জেরে একটা দূষণ বাতাসের সঙ্গে মিশবে। সেটাই পরে বড় আকার ধারণ করে বলে মনে করছেন পরিবেশবিদরা। আর এই বিষয়টি মাথায় রেখেই দিল্লির পরিবেশমন্ত্রী চিঠিতে লেখেন, ‘আমরা প্রস্তুত ক্লাউড সিডিং নিয়ে কাজ করতে যাতে বায়ুদূষণকে ঠেকানো যায়। কিন্তু আমাদের চাই কেন্দ্রীয় দফতরগুলি থেকে ছাড়পত্র এগোনোর জন্য।’ এই কৃত্রিমভাবে বৃষ্টি ঘটাতে প🐭ারলে দিল্লির বিষ বাতাস থেকে মুক্তি মিলবে। পরিবেশ স্বচ্ছ হয়ে উঠলে মানুষের নিঃশ্বাস–প্রশ্বাস সঞ্চালনায় অনেকটা সহায়তা মেলে বলে মনে করা হচ্ছে। আইআইটি কানপুরের সেই বিশেষ ব্যবস্থা আছে ক্লাউড সিডিং করার।