নৃশংস ঘটনা। এক কৃষককে খাটের সঙ্গে বেঁধে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বেরিলিতে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। যদিও ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গুরুত্ব করতে পারেনি পুলিশ।🥃 কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত? পুলিশ তা জানার চেষ্টা করছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, পুরনো শত্রুতার বশেই কৃষককে খুন করা হয়েছে। খবর পে🌠য়ে কৃষকের উদ্ধার করার পর ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ꦛকৃষকের নাম💜 লোচন (৪৫)। তিনি বেরেলি জেলার করণপুর গ্রামের বাসিন্দা। শনিবার রাতে মাঠের একটি ঝুপড়িতে তিনি ঘুমিয়ে ছিলেন। সেই সময় দুষ্কৃতীরা ঝুপড়ির ভিতরে ঢুকে প্রথমে তাঁকে খাটের সঙ্গে বাঁধে। এরপর ঝুপড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। রবিবার সকালে ঝুপড়ি থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখে ঘটনাস্থলে ছুটে যান স্থানীয়রা। সেখানে গিয়ে দেখেন সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। ওই ঝুপড়িতে লোচনের দগ্ধ দেহ দেখতে পান তাঁরা। তাকে যে খাটে বেঁধে রাখা হয়েছিল সেটিও পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ফরিদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ দয়া শঙ্কর বলেন, ‘এই ঘটনায় খুনের মামলা রুজু করা হবে। আমরা মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছি। রিপোর্ট✃ হাতে আসলেই বোঝা যাবে তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করার পর দেহ পুড়িয়ে দেওয়া💟 হয়েছিল কিনা।’
লোচনের ছেলে শ্যামপাল (২২) জানান, তাঁর বাবা প্রতিদিন মাঠের কুঁড়েঘরে ঘুমাতেন। শনিবার রাতেও বাড়িতে রাতের খাবার খাওয়ার পর মাঠের ওই ঘরে ঘুমোতে গিয়েছিলেন। উল্লেখ্য, লোচনের স্ত্রী ডালকুমারী ১০ বছর আগে অসুস্থতার কারণে মারা গিয়েছিলেন। স্ত্রীর মৃত্যুর পর লোচন ছেলের সঙ্গেই থাকতেন। শ্যামপালের দাবি, গ্রামে কারও সঙ্গে তাঁর বাবার শত্রুতা ছিল না। কে তাঁকে এমন নৃশংসভাবে হত্যা করেছে সে সম্পর্কে তিনি কিছু বলতে পারেননি। উল্লেখ্য, গত বছর পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমের বগটুই গ্রামে একইভাবে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল কয়েকটি বাড়িতে। গত ২১ মার্চ বগটুইতে উপপ্রধান ভাদু শেখের মৃত্যুর পর রাতে বেশ কয়েকটি বা𓆏ড়িতে পরপর অগ্নিসংযোগ করা হয়। অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ৯ জনের। সেই ঘটনায় তদন্ত নামে সিবিআই। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় অনেকেই গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও।🌃 𓆉এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক //htipad.onelink.me/277p/p7me4aup