কর্তব্যরত দুই ট্রাফিক পুলিশকে ধাক্কা মারল গাড়ি। শুধু তাই নয়, ধাক্কা মারার পর পুলিশ কর্মীদের গাড়ি🐟তে করে টেনে নিয়ে যাওয়া হল প্রায় ২০ মিটার দূরে। তারপর সেখান থেকে গাড়ি নিয়ে পালিয়ে গেল চালক। রাজধানী দিল্লির রাস্তায় এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার একটি ভিডিয়ো 𒆙ফুটেছে সামনে এসেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে কীভাবে পুলিশ কর্মীদের গাড়িতে করে টেনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এই ঘটনায় দুই পুলিশ কর্মীকে আহত অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। জানা গিয়েছে, গাড়ির চালক অপ্রাপ্তবয়স্ক। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চা♓লিয়ে গ্রেফত🃏ার কাজলের ভাই! ফেক নিউজের জের, চটলেন পরিচালক
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম দিল্লির বের সরাই এলাকায় শনিবার সন্ধ্যা ৭.৪৫ টায় বেদান্ত দেশিকা মার্গের কাছে। নিয়ম ভঙ্গ করার জন্য দুই𓆉 পুলিশ কনস্টেবল গাড়ি থামানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু, গাড়ি না থামিয়ে চালক গতি আরও বাড়িয়ে দেয়। এদিকে, সামনে থাকা দুই পুলিশকে ধাক্কা মারার পর সামনের দিকে গাড়ি নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকে চালক। তারপরে গাড়ির বনেট আঁকড়ে ধরেন দুই পুলিশ কর্মী। এভাবেই তাদের ২০ মিটার বেশি দূর পর্যন্ত টেনে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে গাড়ি নিয়ে নিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায় চালক। পুলিশ জানিয়েছে গাড়িতে দুজন ছিল। তারা দুজনেই অপ্রাপ্তবয়স্ক।
সেই ঘটনার দৃশ্য মোব♎াইলে ভিডিয়ো রেকর্ডিং করেন এক ব্যক্তি। তাতে দুই পুলিশ কর্মীকে গাড়ি বনেট ধরে ঝুলতে দেখা গিয়েছে। আরও দেখা যাচ্ছে, চালক কখনও গাড়িটিকে সামনে আবার কখনও পিছনে নিয়ে যাচ্ছে। সেই সময় এক কনস্টেবল গাড়ি থেকে পড়ে গিয়ে মাথায় চোট পান।
পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (দক্ষিণ-পশ্চিম) সুরেন্দ্র চৌধুরী জানান, গাড়িটি পুলিশ কর্মীদের ধাক্কা মারার পর সেখান থেকে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছয় স্থানীয় থানার পুলিশ। যে আহত দুই পুলিশ কর্মীকে উদ্ধার করে সাফদরজং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এর মধ্যে একজনের নাম হল (এএসআই) প্রমোদ এবং অন্য জন হলেন হেড কনস্টেবল শৈলেশ চৌহান। দুজনের অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানিয়েছে পু🍬লিশ।
আহতরা জানান, তারা গাড়িটি থামানোর জন্য ইশা꧙রা করেছিলেন। চালক প্রথমে গাড়ি থামায়। এরপর সে হঠাৎ করেই গাড়ি নিয়ে পালানোর চেষ্টায় গতি বাড়িয়ে দেয়। দুজন পুলিশকে ধাক্কা মেরে প্রায় ২০ মিটার পর্যন্ত টেনে নিয়ে যায়। পুলিশ জানিয়েছে কারও আঘাত গুরুতর ছিল না। তবে এই ঘটনায় হত্যার চেষ্টা, দায়িত্ব পালনে বাধা এবং জীবন বিপন্ন করার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে ফরেনসিক দল নমুনা সংগ্রহ করে।