ফিউচার রিটেলের থেকে ৭,০০০ কো༺টি টাকা সরিয়ে অন্য সংস্থায় পাঠানো হতে পারে। এমনই অভিযোগ তুলল অ্যামাজন। সংবাদসংস্থা ব্লুমবার্গের 🐓প্রতিবেদনে তা জানানো হয়েছে।
ব্লুমবার্গের হাতে আসা অ্যামাজনের চিঠিতে দাবি করা হয়েছে ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে ‘ক্যাপি𝓀টাল অ্যাডভান্স’ এবং পণ্য ও পরিষেবা ক্রয়ের অর্থ বাবদ ফিউচার রিটেলের প্রতিষ্ঠাতা কিশোর বিয়ানির নিয়ন্ত্রিত সংস্থায় ৭০ বিলিয়ন টাকা দিয়েছিল দেশীয় সংস্থাটি। অস্বাভাবিক ‘রেন্টাল সিকিউরিটি ডিপোজিট’ তৈরি করেছিল ফিউচার রিটেল এবং সেই অর্থবর্ষেই সরবরাহকারীদের অগ্রিম বাবদ ৪৩ বিলিয়ন টাকা দিয়েছিল বলে অভিযোগ তুলেছে অ্যামাজন। মার্কিন সংস্থার দাবি, ফিউচার রিটেলের ব্যবসা যখন ধুঁকছিল এবং ব্যবসায় পাততাড়ি গুটিয়ে ফেলছিল, সেই সময় টাকা দেওয়া হয়েছিল।
অ্যামাজনের তরফে বলা হয়েছে, ‘ফিউচার রিটেল থেকে বড় অঙ্কের টাকা সরানো হয়ে থাকতে পারে।’ কমপক্ষে সেই লেনদেনের একাংশ সামনে নিয়ে এসে ফিউচার রিটেল ‘অবিলম্বে ব্যাঙ্ক এবং ঋণপ্রদানকারীদের আংশিক ঋণ মিটিয়ে দিতে পারে। যাতে ব্যবসা চালিয়ে যাওয়া এবং টিকিয়ে রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করা যায়।’ সেই চিঠির কপি ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (আরবিআই) গভর্নর শক্তিকান্ত দাস-সহ বিভিন্ন কর্তৃপক্🌠ষকে পাঠানো হয়েছে। সেইসঙ্গে তদন্তের দাবি করেছে মার্কিন ই-কমার্স সংস্থা।
যদিও অ্যামাজনের অভꦓিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে ফিউচার রিটেল। দেশীয় সংস্থার এক প্রতিনিধি ব্লুমবার্গকে জানিয়েছেন, কম্পিটিশন কমিশন অফ ইন্ডিয়া অ্যামাজনকে নোটিশ জারি করার পর সুচিন্তিতভাবে এই ‘ভিত্তিহীন এবং বিদ্বেষপরায়ণ’ অভিযোগ করা হয়েছে। ফিউচার রিটেলের শেয়ারহোল্ডার বা ঋণদাতা না হওয়ায় ওই চিঠি লেখার𝓡 কোনও অধিকার নেই অ্যামাজনের। বিষয়টি নিয়ে অ্যামাজনের এক মুখপাত্র অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি।