দিল্লি আবগারি দুর্নীতি মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গতকালই জামিন দেওয়া হয়েছিল। এক লাখ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে শর্তসাপেক্ষে কেজরির জামিন মঞ্জুর করেছিল দিল্লির এক আদালত। সেই জামিনের বিরুদ্ধে আজ দিল্লি হাই কোর্টে আবেদন করে তদন্তকারী সংস্থা ইডি। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি শুরু হয়েছে দিল্লি হাই কোর্টে। আর শুনানির শুরুতেই উচ্চ আদালত নির্দেশ দেয়, যতক্ষণ না পর্যন্ত ইডির আবেদনের প্রেক্ষিতে শুনানি হচ্ছে, ততক্ষণ কেজরিওয়ালকে জামিনে মুক্তি দেওয়ার নিম্ন আদালতের নির্দেশ কার্যকর করা যাবে না। (আরও পড়ুন: কাগুজে সিগন্যালেই কি কাঞ্চনজঙ্ঘা বিপত্তি ঘটেছিল? দুর্ঘটনা নিয়ে কী ব🌄লছে রেল...)
আরও পড়ুন: জমি দখꦺলের অভিযোগে পুরসভার নোটিশ ইউসুফ পাঠানের বিরুদ্ধে, আদালতে গেলেন TMC সাংসদ
আরও পড়ুন: প🍌শ্চিমবঙ্গের শিক্ষকদের জন্য সুখবর, নীরবেই জারি নয়া বিজ্ঞপ্তি, সই রাজ্যপালের
এর আগে কেজরিওয়ালের যে জামিনের আর্জি জানানো হয়েছিল, তা নিয়ে দীর্ঘ সওয়াল-জবাব চলে দিল্লির আদালতে। দিল্লি আবগারি দুর্নীতি মামলায় অন্যান্য অভিযুক্তদের সঙ্গে কেজরির যোগসূত্র আছে বলে তুলে ধরার চেষ্টা করে ইডি। পালটা কেজরির আইনজীবী দাবি করেন যে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণই নেই কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে। সেই সওয়াল-জবাবের পরে বৃহস্পতিবার রায়দান স্থগিত রাখেন বিচারক। সন্ধ্যায় বিচারক শর্তসাপেক্ষে কেজরির জামিন মঞ্জুর করেন। তিনি নির্দেশ দিয়েছেন যে তদন্ত প্রক্রিয়ায় কোনওরকম বাধা তৈরির চেষ্টা করতে পারবেন না কেজরি। কোনও সাক্ষীকে প্রভাবিত করতে পারবেন না। সেইসঙ্গে যখনই প্রয়োজন হবে, তখনই আদালতে হাজিরা দিতে হবে। তদন্তেও কেজরিকে সহযোগিতা করতে হবে বলে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছিল দিল্লির আদালত। তবে কেজরিকে জামিন দেওয়ার বিরোধিতায় এবার উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয় ইডি। (আরও পড়ুন: কাঞ্চনজঙ্ঘা দুর্ঘটনায় জমা পড়ল 'জয়েন্ট রিপোর্ট', বিস্ফোরক 💮দাবি লোকো ইন্সপেক্টরের)
আরও পড়ুন: দুর্নীতির ঘুঘুর বাসা সরকারি কর্মীদের মধ্যে, ব♏ৈঠকে চরম ক্ষুব্ধ হয়ে বিস্ফোরক মমতা
হাই কোর্টে ইডি দাবি করে, কেজরিওয়ালের জামিনের মামলায় বিরোধিতা কার পর্যাপ্ত সুযোগ দেওয়া হয়নি তাদের। তাদের পক্ষের যুক্তি পেশ করার সময়ই নাকি ইডিকে দেয়নি নিম্ন আদালত। এদিতে কেজরির জামিনের বিরোধিতায় ইডির দায়ের করা আবেদন খারিজের দাবি জানিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর আইনজীবী। এই আবহে ইডির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জরুরি ভিত্তিতে শুনানি হয় দিল্লির আদালতে। সেই শুনানি শেষে দিল্লি হাই কোর্টের পরবর্তী নির্দেশের আগে পর্যন্ত জামিনে কেজরিওয়ালকে জামিনে জেল থেকে ছাড়া যাবে না বলেও নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালত। (আরও পড়ুন: ১৯ দিন পর🐻 ঘুম ভাঙল বর্ষার, অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে দক্ষিণবঙ্গে কবে আসবে মৌসুমি বায়ু)
আরও পড়ুন: 🤪এল 'ডি💧এ নোটিফিকেশন', আচমকাই লক্ষ্মীলাভ বাংলার সরকারি কর্মীদের
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে কেজরিওয়ালের দিল্লি সরকার মদ বিক্রির নয়া নীতি কার্যকর করেছিল।🙈 তবে কয়েকদিন পরই সেই নীতি বাতিল করা হয়েছিল। এরই মাঝে অভিযোগ ওঠে, সেই নীতির অধীনে নির্দিষ্ট কিছু মদ ব্যবায়ীর থেকে ঘুষ নিয়ে বিশেষ সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল। মদ বেচার লাইসেন্সের জন্🅘য ডিলাররা ১০০ কোটি টাকার ঘুষ দিয়েছিল আম আদমি পার্টিকে। এদিকে এই গোটা ঘটনায় তেলঙ্গানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর মেয়ে কে কবিতার সরাসরি যোগ ছিল বলে দাবি। ইডি অভিযোগ করেছে, কবিতার মদতে দক্ষিণ ভারতে অনেক সংস্থা আপ-কে ঘুষ দিয়ে দিল্লিতে মদ বিক্রির লাইসেন্স পেয়েছিল। আর এই গোটা লেনদেনের নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন বর্তমান রাজসাক্ষী রেড্ডি। এই আবহে দিল্লি আবগারি দুর্নীতি মামলায় আম আদমি পার্টিকে 'কোম্পানি' আখ্যা দিয়েছিল ইডি। শুধু তাই নয়, দাবি করা হয়েছিল, এই গোটা দুর্নীতির মাথা নাকি অরবিন্দ কেজরিওয়াল নিজেই।