উৎপল পরাশর
অসমে পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর নিয়োগের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে 🉐যাওয়ার ১০ দিনের মাথায় এই জালিয়াতি কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে শাসকদল বিজেপি–র এক নেতাকে গ্রেফতার করল অসম পুলিশ। ধৃত ডিবন ডেকা ২০১১ সালে নলবাড়ি জেলার বড়খেত্রি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপি–র হয়ে দাঁড়িয়ে হেরেছিলেন। বুধবার রাতে তাঁকে সদ্য ঘোষিত বাজালি জেলার পাতাচরকুচি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
তবে সস্ত্রীক পাত💎াচরকুচি থানায় হাজির হয়ে আত্মসমর্পণের পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে কিনা সেটা এখনও পরিষ্কার জানা যায়নি। মামলার তদন্তের সঙ্গে জড়িত শীর্ষ স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে ফোনে বা মেসেজ করে যোগাযোগ করা হলে এ ব্যাপারে এখনও তাঁদের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
৪৩ বছর বয়সী ওই বিজেপি নেতাকে জেরা করার জন্য গুয়াহাটিতে এনেছে সিআইডি–র একটি দল। প্🌄রশ্নপত্র ফাঁস সংক্রান্ত এই জালিয়াতি কাণ্ডের সঙ্গে তিনি কীভাবে জড়িত তা জানতে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আজ, বৃহস্পতিবারই তাঁকে আদালতে তোলা হবে বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে, এই ঘটনায় আর একপ প্রধান অভিযুক্ত অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস অফিসার পিকꦆে দত্ত এখনও পলাতক রয়েছেন। পুলি♎শে চাকরি দেওয়ার লোভ দেখিয়ে প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।
অসম পুলিশে ৫৮৭ জন সাব ইন্সপেক্টর নিয়োগের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে গিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে ছড়িয়ে পড়লে ২০ সেপ্টেম্বর পুর🌳ো নিয়োগ প্রক্রিয়াই বাতিল করে দেওয়া হয়। ওই পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল প্রায় ৬৬ হাজার চাকরিপ্রার্থীর।
এ পর্যন্ত ১২ জনের ব🐬েশি সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে এ ঘটনায় গ্রেফতার করেছে অসমের অপরাধ দমন শাখা ও সিআইডি। ওদিকে, পরীক্ষার আগেই চাকরির জন্য নগদ টাকা দেওয়া প্রার্থীদের প্রশ্নপত্র জোগাড় করে দেওয়ার দায়ে গ্রেফতার করা হয়েছে ডিবন ডেকা ও পিকে দত্তকে। তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, পরীক্ষার আগে বহু চাকরিপ্রার্থী গুয়াহাটিতে পিকে দত্তর এক হোটেলে ছিলেন। লিখিত পরীক্ষার আগে আর এক হোটেলে তাঁরা এ✅কটি মক টেস্টও দেন।
সোমবার এডিজিপি (আইনশৃঙ্খলা) জিপি সিং সাবাদিকদের জানান, গুয়াহাটির ওই হোটেলে মক টেস্ট করানোর জন্য পরীক্ষার প্রশ্নপত্র জোগাড় করেছিলেন ডিবন ডেকা। এখন ডিবন ডেকা ও পিকে দত্তের মধ্যে কী যোগসাজশ ছিল তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহের শুরুতে পলাতক পিকে দত্ত এবং ডিবন ডেকাকে খুঁজে বের করার জন্য ১ লক্ষ টাকা পুরস্ক꧂ারের ঘোষণা করেছিল অসম পুলিশ।