অসমের পাহাড় ঘেরা জেলা হচ্ছে ডিমা হাসাও। এই জেলায় রয়েছে একটি কয়লা খনি। যেখানে আটকে পড়েছেন অন্তত ১৫ জন খনি শ্রমিক। সোমবার সকালে কাজ করতে এসেছিলেন তাঁরা। রোজকার মতো কাজ শুরুও করেন। এমন সময় হঠাৎ খনি প্লাবিত হয়ে যায়। আর তার জেরে ওই খনি শ্রমিকরা আটকে পড়েন ব⛦লে খবর। তাঁদের উদ্ধারে সেনাবাহিনীর সাহায্য চেয়েছে অসমের সরকার। ওই কয়লা খনিতে আজ, মঙ্গলবার পর্যন্ত ঠিক কতজন শ্রমিক আটকে আছেন সেটা এখনও জানায়নি অসম সরকার। তবে জেলা প্রশাসনের সূত্রে খবর, এখানে আটকে পড়া শ্রমিকের সংখ্যা অন্তত ১৫। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়☂ী, এই শ্রমিকরা সেখানে কাজ করছিলেন। তখন হঠাৎ খনিতে জল ভরে যায়।
এই দুর্ঘটনা ঘটে সকাল ৭টায়। তারপর থেকে সময় গড়িয়েই চলেছে। কয়লা খনি কোল কোয়্যারি অবস্থিত টিঙ্কিলো উমরাংসো থানা এলাকায়। ডিমা হাসাও জেলার তিন কিমি জুড়ে এই কয়লা খনি গড়ে উঠেছে। তবে এই জায়গাটি অত্যন্ত প্রত্যন্ত বলে জানান সরকারি কর্তারা। সুতরাং এখান থেকে শ্রমিকদের উদ্ধার করতে অনেকটা সময় লাগবে। সূত্রের খবর, ওই কয়লা খনিতে বন্যা হওয়ার পর এমন পরিস্থি🦂তি তৈরি হয়েছে। ওখান থেকে কোনওরকমে প্রাণ বাঁচিয়ে দু’তিনজন শ্রমিক বাইরে বেরিয়ে আসেন বলে খবর। এই কয়েকজন শ্রমিকই খনির মালিক এবং স্থানীয় পুলিশকে দুর্ঘটনার কথা জানাꦫন।
আরও পড়ুন: একসঙ্গে ২১টি সারমেয়কে হত্যা করার ছক, ৪০ ফুট উঁচু সেতু থেকে ছুঁড়ে ফেলার অভিযোগ তেলাঙ্গানায়
স্থানীয় সূত্রে খবর, নিশ্চিত করে বলা না গেলেও ১০ থেকে ১৫ জন শ্রমিক সেখানে আটকে আছেন। এই দুর্ঘটনার পর অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেছেন, রাজ্য ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীরা উদ্ধার কাজ করতে অভিযান হাত লাগিয়েছেন। ডিসি এবং এসপিও ঘটনাস্থলে উপস্থিত আছেন। অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারে সেনাবাহিনীর সাহায্য চাওয়া হয়েছে। উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে।’ জাতীয় এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাব𝔍িলা বাহিনী উদ্ধার কাজ শুরু করেছে বলে এক্স হ্যান্ডেলে তিনি জানিয়েছেন।
এছাড়া সূত্রের খবর, দুর্ঘটনাগ্রস্ত কয়লা খনি আসলে অবৈধ। যাকে বলে ‘ব়্যাট হোল মাইন’। প্রত্যন্ত স্থানে সেটা ছিল বলে এই খনির বিষয়ে সেভাবে নজরদারি ছিল না। সেই সুযোগে সেখান থেকে গোপনে কয়লা তোলা হচ্ছিল। শুধু অসম নয়, অতীতে প্রতিবেশী রাজ্য মেঘালয়েও এমন অবৈধ কয়লা উত্তোলন করতে দেখা গিয়েছে। দুর্ঘটনা ঘটেছে। যার ফলে বেশ কয়েকজন শ্রমিক মারা গিয়েছে। এটা মেঘালয়ের ঘটনা। তার পর আবার এই ধরনের কয়লা খনি নিষিদ্ধ করেছিল ‘ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল’। আর অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘দুঃখের খবর মিলেছে উমরাংসো থেকে। যেখানে শ্রমিকরা আটকে আছেন কয়লা খনিতে। কতজন সেই সংখ𓃲্যা এখনও জানা যায়নি। ডিসি, এসপি এবং আমার সহকর্মী কৌশিক রাই সেখানে গিয়েছে। ঈশ্বরের কাছে সকলের নিরাপদ জীবন কামনা করছি।’