ইউরোপের একাধিক দেশে করোনাভাইরাস টিকা নেওয়ার পর রক্ত জমাট বাঁধার ম💟তো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার অভিযোগ ওঠে। এবার সেই অভিযোগকে মান্যতা দিল ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওষুধের নিয়ন্ত্রক। অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে রক্ত জমাট বাঁধার রাখা উচিত, মত ইউরোপিয়ান মেডিসিনস এজেন্সির (EMA)।
'সম্ভবত শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার প্র♏তিক্রিয়াতেই রক্ত জমাট বাঁধা ও প্লেটলেট সংখ্যা হ্রাসের মতো ঘটনা ঘটছে। হেপারিন দিয়ে চিকিত্সা সময়েও এমনটাই দেখা যায়,' দাবি EMA-এর।
তবে এই বিষয়টꦏি যে খুবই বিরল ক্ষেত্রে ঘটছে, সে কথাও স্পষ্ট করা হয়েছে। ফলে অল্পবয়সিদের ক্ষেত্রে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা গ্রহণে কোনও ঝুঁকি নেই বলেই জানিয়েছে ইউরোপিয়ান মে়ডিসিনস এজেন্সি। EMA-এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এমার কুকের কথায়, 'করোনা থেকে প্রাণহানির সম্ভাবনা অনেক বেশি। তার তুলনায় টিকা থেকে মৃত্যুর সম্ভাবনা নগণ্য।'
অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা গ্রহণের পর গুরুতর শারীরিক অসুস্থতার অভিযোগ এসেছে একাধিক দেশ থেকে। এর মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক অভিযোগ উঠেছে নরওয়ের থেকে। সেখানে তিনজন স্বাস্থ্যকর্মী ভ্যাকসিন নেও📖য়ার পর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে অভিযোগ। একাধিক সূত্রে দাবি, রক্ত জমাট বাঁধা, রক্তে প্লেটলেট-এর সংখ্যা কমে যাওয়ার মতো মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে তাঁদের শরীরে। ফলে, অ্যাস্ট্রাজেনেকার ডেভেলপ করা এই ভ্যাকসিনকে ভালো চোখে দেখছে না বহু দেশ।
অ্যাস্টাজেনেক🧔ার ভ্যাকসিন গ্রহণের পর নেদারল্যান্ডসে এক মহিলার মৃত্যুরও অভিযোগ উঠেছে। এর পরেই এই টিকা সাময়িকভাবে স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয় নেদারল্যান্ডস। একই পথে হেঁটেছে ইউরোপের একাধিক দেশ।
ফ্রান্স, জার্মানি ও সুইডেনে শুধুমাত💜্র অল্পবয়সিদেরই দেওয়া হচ্ছে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা। অন্যদিকে ডেনমার্ক ও নরওয়েতে সম্পূর্ণভাবে বন্ধ। এই টিকা গ্রহণ করে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্রিটেনের ওষুধের ⭕নিয়ামকও। ব্রিটেনে মোট ৭৯টি ক্ষেত্রে এই টিকা গ্রহণের পর রক্ত জমাট বাঁধার ঘটনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ভারতে অ্যাস্ট্রাজেনেকার এই করোনা টিকা ব্যবহৃত হচ্ছে। কোভিশিল্ড নামে এই ভ্যাকসিন উৎপাদন করছে সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া। গত মাসে এই অভিযোগের ভিত্তিতে মুখ খোলে অ্যাস্ট্রাজেনেকাও। সংস্থা জানায়, কমপক্ষে এক কোটিরও বেশি ব্যক্তি তাদের টিকা নিয়ে স❀ুস্থ আছেন। তাই টিকাটির সুরক্ষা ন💙িয়ে কোনও প্রশ্ন নেই।
'আমরা আমাদের কোভিড নাইন্টিন ভ্যাকসিনটির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীনতার বিষয়ে সকলকে আশ্বস্ত করতে চাই। বিজ্ঞানসম্মত প্রমাণ থেকেই এটা বলা। ভ্যাকসিনের সুরক্ষা আমাদের সবচেয়ে বড় লক্ষ্য। এই বিষয়ে সর্বক্ষণ সতর্ক ও কর্🌸মরত আমাদের সংস্থা,' বিজ্ঞপ্তিতে জানায় অ্যাস্ট্রাজেনেকা।