কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর টিআরপি প্রথা তুলে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছেন। সাংবাদিকতার স্বার্থেই এই সিদ্ধ꧒ান্ত নেওয়া উচিত বলে মনে করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
জাভড়েকর বলেন যে কোন অনুষ্ঠান কতটা জনপ্রিয় সেটা অবশ্য দেখা উচিত কিন্তু টেলিভিশন রেটিংস পয়েন্ট বা টিআরপি-র জন্য অনুষ্ঠান করা বন্ধ করা উচিত। বর্তমান পদ্ধতিতে কিছু লোকের বাড়িতে টিভিত☂ে একটি মেশিন ফিট করা থাকে। সেটায় তাঁরা কী দেখছেন সেটা রেকর্ড হয়ে যায়। সেই হিসেবে টিআরপি নির্ধারিত হয়। এই টিআরপি-র ওপর ভিত্তি করেই বিজ্ঞাপন পায় চ্যানেলরা। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই টিআরপি পাওয়াই প্রধান লক্ষ্য থাকে টিভি চ্যানেলগুলির।
জাভড়েকর বলেন যে মিডিয়ায় যেরকম রিপোর্ট আসছে এটা স্পষ্ট টিআরপি পদ্ধতিকে উন্নত করতে হবে বা একেবারেই বন্ধ করে দিতে হবে। আরএসএসের ম্যাগাজিন পঞ্চজন্যের একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে এই কথা বলেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচ🎐ার মন্ত্রী। তিনি বলেন টিআরপির লোভে উস্কানিমূলক অনুষ্ঠান টিভিতে চলতে পারেনা।
জাভড়েকর বলেন যে সরকার এই বিষয় হস্তক্ষেপ করতে চায় না, তাই 💎মিডিয়া সংস্থাদের কাছে আর্জি করছি একটি পদ্ধতি রূপায়ণ করুন যেখানে অনুষ্ঠানে কি যাচ্ছে সেটা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তিনি বলেন সরকারের মিডিয়ার ওপর আস্থা আছে ও প্রেসের স্বাধীনতায় তাঁরা বিশ্বাস করেন। কিন্তু সেই স্বাধীনতা রক্ষা করার দꦚায় মিডিয়ার, বলে জানান জাভড়েকর।
জাভড়েকর বলেন আগে P শব্দটি ছিল প্রেসের জন্য, তারপর এল ফেক নিউজ আর এখন টিআরপি সাংবাদিকতা। এই মুহূর্তে সংবাদপত্রের জন্য আছে প্রেস কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া ও টিভি চ্যানেলগুলির নিজেদের সংগঠন আছে যারা সেল্ফ রেগুলেশন করে। কিন্তু সেগুলি কতটা কার্যকর সেই নিয়🍎ে প্রশ্ন করেন জাভড়েকর। তিনি বলেন যে যারা এই সব সংগঠনের সদস্য নয় তারা তো যা ইচ্ছে তাই করে যাচ্ছে। কীভাবে সব মিডিয়াকে আত্ম-নিয়ন্ত্রণের পথে নিয়ে যাওয়া যায়, সেই প্রশ্নও করেন তিনি। প্রসঙ্গত প্রেস কাউন্সিল অনেক দিন ধরেই মিডিয়া কাউন্সিল তৈরি করার কথা বললেও টিভি চ্যানেলগুলি রাজ🍌ি হয়নি।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, জাভড়েকর উল্লেখ না করলেও সুশান্ত মৃত্যুর পর মিডিয়ার একাংশে যেভাবে কভারেজ হয়েছে, সেই প্রসঙ্গেই উদ্বেগ প্রকাশ করলেন তিনি। মিডিয়া যদি নিয়ন্ত্রণের পথে না যায়, ভবিষ্যতে যে এই নিয়ে কেন্দ্ꦅর কিছু পদক্ষেপ করতে পারে, সেই প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিতও দিয়েছেন তিনি।