বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Babri Masjid to Ram Mandir Timeline: '৪৯৬ বছরের অপেক্ষা', বাবরি মসজিদ… বিতর্ক… রামমন্দির… উলটে দেখুন ইতিহাসের পাতা
২০১৯ সালে সুপ্রিম রায়ের পর শুরু হয়েছিল রামমন্দির নির্মাণের কাজ। আজ সেই মন্দিরে প্রাণপ্রতিষ্ঠা হল রামলালার। এর আগে ১৯৯২ ♚সালের ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই স্থানেই দাঁড়িয়ে ছিল বাবরি মসজিদ। বলা হয়, ১৫২৮ সালে সেই মসজিদ তৈরি করা হয়েছিল। এবং দাবি করা হয়, একটি মন্দিরের ওপরেই এই মসজিদ তৈরি করা হয়েছিল। তবে বাবরি মসজিদ আজ নেই। তার স্থানে তৈরি হয়েছে বিশাল রামমন্দির। বলা হচ্ছে, প্রায় ৫০০ বছর পর রামলালা 'ঘরে ফিরলেন।' একনজরে দেখে নিন এই ৫০০ বছরের ইতিহাস...
আরও পড়ুন: রামমন্দির কমপ্লেক্সে ১টা নয়, আছে একাধিক মন্🍬দির! জানুন রামলালার গৃহেꦓর খুঁটিনাটি
আরও পড়ুন: আজ নয়া বিগ্রহে🍌 ‘প্রাণ প্রতিষ্ঠা’, 'পুরনো' রামলালার কী হবে? জানুন প্রতিমা কাহন
- ১৫২৮: দাবি করা হয়, মুঘল সাম্রাজ্য চলাকালীন মীর বাকি এই বাবরি মসজিদ তৈরি করেছিলেন।
- ১৮৮৫: মহন্ত রঘুবীর দাস ফৈজাবাদ আদালতে মামলা দায়ের করে অভিযোগ করেন, যে স্থানে বাবরি মসজিদ তৈরি করা হয়েছে, সেটি আদতে রাম জন্মভূমি। তবে সেই মামলা খারিজ করে দিয়েছিল আদালত।
- ১৯৪৯ সালের ২২ ডিসেম্বর: বিতর্কিত কাঠামোর বাইরের একটি জায়গায় রামের মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হয়।
- ১৯৫০: ফৈজাবাদ আদালতে ফের একটি মামলা দায়ের হয়। এবার মামলাটি করেন গোপাল সিমলা বিশারদ নামে এক ব্যক্তি। যে রামের মূর্তিটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে সেখানে পুজো করার জন্য আদালতের কাছে অনুমতি চেয়ে সেই মামলা করেছিলেন তিনি।
- ১৯৫৯: নিরমোহী আখরা ওই বিতর্কিত ২.৭ একর জায়গা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য ফের একটি মামলা দায়ের করে।
- ১৯৬১: এবার বিতর্কিত জমি মুসলিমদের ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি করেন এক ব্যক্তি। তিনি আদালতে মামলা দায়ের করেন।
- ১৯৮১: উত্তরপ্রদেশের সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের তরফে একটি মামলা দায়ের করা হয়। দাবি করা হয়, ওই জমি তাদের ফিরিয়ে দিতে হবে।
- ১৯৮৬: দীর্ঘ শুনানির পর আদালতের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয় ওই জায়গায় পুজো করতে পারবেন হিন্দুরা।
- ১৯৮৯: বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ভাইস প্রেসিডেন্ট দেওকি আগরওয়াল একটি মামলা দায়ের করেন। এবং জমি ফিরিয়ে দেওয়ার আবেদন জানান।
- ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর: বিতর্কিত জমিতে বাবরি মসজিদের কাঠামো ভেঙে ফেলে কয়েক হাজার করসেবক। বিজেপি প্রতিষ্ঠাতা লালকৃষ্ণ আডবানি, মুরলি মনোহর যোশীদের বিরুদ্ধে উসকানি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।
- ১৯৯৩: কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে একটি জমি অধিগ্রহণ আইন পাস করিয়ে অযোধ্যার সেই বিতর্কিত জমির দখল নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। সেই বছরই এলাহাবাদ হাইকোর্টে একাধিক রিট পিটিশন দাখিল করা হয়।
- ১৯৯৪: বিতর্কিত জমি মামলায় সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, যে স্থান নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে তা মুসলিমদের নয়।
- ২০০২: এলাহাবাদ হাই কোর্টে ফের একটি মামলা হয়। বিতর্কিত জমির মালিকানা নিয়ে সেই মামলা হয়।
- ২০০৩: এলাহাবাদ হাইকোর্ট নির্দেশ দেয় ওই বিতর্কিত এলাকায় কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠান করা যাবে না। কোনও ধর্মের মানুষই ওই জমি ব্যবহার করতে পারবেন না।
- ২০১০: এলাহাবাদ হাই কোর্ট সিদ্ধান্তে নেয়, ওই বিতর্কিত জমি সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড এবং নিরমোহী আখড়ার মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে।
- ২০১১: জমি ভাগ করে দেওয়া নিয়ে ২০১০ সালে হাই কোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছিল, তার উপর স্থগিতাদেশ জারি করে সুপ্রিম কোর্ট।
- ২০১৬: বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলা দায়ের করেন। বিতর্কিত জমিতে রাম মন্দির তৈরির অনুমতি দিতে হবে বলে দাবি করেন তিনি।
- ২০১৭: তৎকালীন বিচারপতি জে এস খেহর পুরো বিষয়টি আদালতের বাইরে আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দেন। এদিকে ১৯৯৪ সালে আদালতের দেওয়া রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করে উত্তর প্রদেশ শিয়া ওয়াকফ বোর্ড। উত্তরপ্রদেশ শিয়া ওয়াকফ বোর্ডের তরফে আদালতের কাছে জানানো হয় অযোধ্যায় রাম মন্দির তৈরি করা হোক এবং লখনউ-এ মসজিদ তৈরির অনুমতি দেওয়া হোক। এরপর সেই বছরেই ১ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করে ৩২ টি সংগঠন। ওয়াকফ বোর্ড ও রাম মন্দির ট্রাস্টের মধ্যে জমি ভাগ করে দেওয়ার বিষয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছিল সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে তারা।
- ২০১৮: সুপ্রিম কোর্টে ওই মামলার শুনানি শুরু হয়।
- ২০১৯: তৎকালীন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বে ৫ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠন করে সুপ্রিম কোর্ট। সেই বছর ৯ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে একটি ট্রাস্ট গঠন করে বিতর্কিত জমিতে রামমন্দির তৈরি করা হবে। পাশাপাশি মসজিদ তৈরির জন্য অযোধ্যায় ৫ একর জমি দেওয়ারও নির্দেশ দেয় আদালত।
- ২০২০ সালের ৫ অগস্ট: রামমন্দিরের শিলান্যাস করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
- ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি: শ্রীরামের নতুন এক বিগ্রহে প্রাণপ্রতিষ্ঠা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
পরবর্তী খবর