পাকিস্তানি নৌসেনার দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমান ঘাঁটিতে হামলা চালাল বালোচ লিবারেশন আর্মি। বিগত ১০ দিনে এই নিয়ে এটি দ্বিতীয় বড় হামলা এই স্বাধীনতাকামী সংগঠনের। সোমবার রাতে এই হামলাটি চালানো হয় বলে জানা যায়। জানা গিয়েছে, তুরবাতে অবস্থিত পিএনএস সিদ্দিকিতে গতরাতে একাধিক বিস্ফোরণ শোনা যায়। এই হামলার দায় স্বীকার করেছে বালোচ লিবারেশন আর্মির মজিদ ব্রিগেড। এই হামলার সঙ্গে যুক্ত চার বালোচ বন্দুকবাজকে খতম করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পাক নৌসেনা। এদিকে সরকারি তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে, বালোচ লিবারেশন আর্মির এই হামলায় পিএনএস সিদ্দিকি এয়ার স্টেশনের কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। (আরও পড়ুন: জুড়বে খগড়পুর-শিলিগুড়ি,লাগবে🍰 ৭ ঘণ্টা ক🌠ম সময়, ১০২৪৭ কোটির সড়কের আপডেট দিল NHAI)
আরও পড়ুন: ডানকুনিতে কারখানা চালু বিখ্যাত ফরাসি সংস্থার, লক্ষ্য ভার𝓡তে 🃏৩২০০ কোটির 'হাব' তৈরি
উল্লেখ্য, বালোচ লিবারেশন আর্মি কয়েকদিন আগেই গদর বন্দরে হামলা চালিয়েছিল। চিন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোরের অংশ হিসেবে এই বꦑন্দরটি তৈরি করেছে চিন। এদিকে বালোচ লিবারেশন আর্মির অভিযোগ, পাক সরকার এবং চিন ম🔜িলে বালোচিস্তান অঞ্চলের সম্পদ লুঠ করছে। এই আবহে বিভিন্ন সময়ে চিনা নাগরিকদের ওপরেও বালোচ লিবারেশন আর্মি হামলা চালিয়েছে এর আগে। এদিকে বালোচিস্তান পোস্টের রিপোর্ট অনুযায়ী, সশস্ত্র সংগঠনটি দাবি করেছে, তাদের বন্দুকবাজরা পাক সামরিক ঘাঁটিতে ঢুকতে সক্ষম হয়েছে। প্রসঙ্গত, এই ঘাঁটিতে চিনা ড্রোন মোতায়েন আছে বলে জানা যায়। এদিকে বালোচ লিবারেশন আর্মিকে 'নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠী' হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে পাকিস্তান, আমেরিকা এবং ব্রিটেনে।
আরও পড়ুন: গঙ্গাবক্ষে 'পুনর্জন্ম' ১৩৭ বছরের শালিমার শিপইয়ার্ডের, একলাফে ব্যবসা বাড়🤡ল ৮ গুণ
এর আগে গত ২০ মার্চ গদ🐬ল বন্দরে অবস্থিত সামরিক গোয়ন্দা সদর দ🦄ফতরে হামলা চালিয়েছিল বালোচ লিবারেশন আর্মি। সেই হামলার সঙ্গে যুক্ত ৮ জন বন্দুকবাজকে খতম করেছিল পাক সেনা। সেই হামলায় দুই পাক সেনা জওয়ানেরও মৃত্যু ঘটেছিল। এর আগে গত ২৯ জানুয়ারি বালোচ লিবারেশন আর্মি হামলা চালিয়েছিল মাখ শহরে। এই আবহে আজকের এই হামলা বালোচ লিবারেশন আর্মির মজিদ ব্রিগেডের বছরের তৃতীয় বড় হামলা।
উল্লেখ্য, বেশ কয়েক বছর আগে শুরু হয়েছিল শি জিনপিং🧜য়ের স্বপ্নের 'বেল্ট অ্যন্ড রোড ইনিশিয়েটিভ' প্রকল্প। চিন থেকে গ𓆉িলগিট-বালতিস্তান, পাক অধিকৃত কাশ্মীর হয়ে এই অর্থনৈতিক করিডর চলে গিয়েছে পাকিস্তানের বালোচিস্তান প্রদেশে অবস্থিত গদর বন্দর পর্যন্ত। অপরদিকে করিডরের একদিক চলে গিয়েছে মধ্য এশিয়া পর্যন্ত। তবে এই প্রকল্পে ভারতের সার্বভৌমত্বের তোয়াক্কা না করেই কাজ করে গিয়েছে চিন। এই আবহে ভারত প্রথম থেকেই এই প্রকল্পের বিরোধিতা করে এসেছিল। এদিকে ভিন্ন কারণে এই প্রকল্পের বিরোধিতা করে আসছে বালোচ লিবারেশন আর্মিও।