কোটা বিরোধী আন্দোলনের জেরে উত্তাল পরিস্থিতি বাংলাদেশে। এখনও সম্পূর্ণ শান্তি ফিরে আসেনি পদ্মাপারে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরও আন্দোলন চলছে। তার ফলে বাংলাদেশে কার্ফু এখনও জারি আছে। চলছে না ইন্টারনেট। এই আবহে আজ মঙ্গলবার দুপুর ১টা থেকে ৫টা পর্যন্ত কার্ফু শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শেখ হাসিনার সরকার। গোটা বাংলাদেশেই প্রা💛য় পাঁচ ঘণ্টা কার্ফু শিথিল করা হবে। এখনও গোটা বাংলাদেশের নানা জায়গায় ছাত্র আন্দোলন চলছে। তার মধ্যে🐽 এই কার্ফু শিথিল নিঃসন্দেহে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
এদিকে কোটা বিরোধী আন্দোলনের জেরে স্বাভাবিক জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এই আবহে কার্ফু শিথিল করার কারণ, ছা𓂃ত্র আন্দোলন আগের কিছুটা স্তিমিত হয়েছে। বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট 𝄹সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাদের উত্তরসূরিদের সংরক্ষণ কমিয়ে দিয়েছে। এবার থেকে বাংলাদেশে ৯৩ শতাংশ নিয়োগই হবে মেধার ভিত্তিতে। এমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাকি সাত শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে। তার মধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের উত্তরসূরিরা পাঁচ শতাংশ এবং অনগ্রসর শ্রেণি ও প্রতিবন্ধীরা এক শতাংশ সংরক্ষণ পাবে। যদিও এই কোটার পুরোটাই বাতিল করার দাবি তুলেছে ওপার বাংলার ছাত্র–যুবরা।
আরও পড়ুন: শুভেন্দুর বিꦉরুদ্ধে নালিশ শুনলেন না সুনীল বনসল, কার্যকর্তারা পড়লেন প্রশ্নের মুখে
অন্যদিকে বিকেল ৫টার পর আবার কার্ফু কার্যকর হবে বলেই সূত্রের খবর। এই পাঁচ ঘণ্টায় কী ঘটে সেটা দেখে নিতে চাইছে প্রশাসন। তাছাড়া মানুষের জীবনে দৈনন্দিন চাহিদা মেটাতে এই কার্ফু শিথিল করা হচ্ছে বলে খবর। কারণ দীর্ঘদিন এভাবে কার্ফু চলতে থাকলে বাংলাদেশের নাগরিকদের খাদ্যসংকটের মধ্যে পড়তে হবে। তাই এই পাঁচ ঘণ্টা কার্🥀ফু শিথিল করা হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার থেকে বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ অংশে বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। সারা দেশে ছুটি ঘোষণা করে দিয়েছে শেখ হাসিনা সরকার। মাঝেমধ্যে এক–দু’ঘণ্টার জন্য কার্ফু শিথিল করা হচ্ছে। তার মধ্যে মানুষকে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সংগ্রহ করতে হচ্ছে।
এবার সেটাই বড় সময়ে করার জন্য পাঁচ ঘণ্টা শিথিল করা হচ্ছে কার্ফু। এছাড়া মন্ত্রীদের পদত্যাগ নিয়ে আন্দোলন শুরু হয়েছে। একাধিক মন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে আন্দোলন শুরু হয়েছে। কোটা বিরোধী আন্দোলনের সময় কᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚ꧂ᩚয়েকজন ছাত্র নিখোঁজ হন বলে উঠেছে অভিযোগ। তাঁদেরকে ফিরিয়ে দিতে হবে বলে দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। সোমবার ছাত্র আন্দোলনের দুই নেতা আবদুল হান্নান মাসুদ এবং মাহিন সরকার চার দফা দাবি পূরণ করার জন্য হাসিনা সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। এই দাবি পূরণ না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে।