সম্প্রতি ছাত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তন হয়েছে। তারপরেই সংখ্যালঘুদের ওপর ব্যাপক অত্যাচার নেমে আসে বাংলাদেশে। মাজারের মতো ধর্মীয় স্থানেও চলে হামলা। এর তীব্র নিন্দা করেছে মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বতী সরকার। একইসঙ্গে এই ধরনের ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে অন্তর্বতী সরকার। এর 🍌পাশাপাশি কোনওরকম বিদ্বেষমূলক বক্তব্যও বরদাস্ত করা হবে না বলে অন্তর্বর্তী সরকার জানিয়ে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: 🌟বাংলাদে♛শে হিন্দুদের ওপর হামলার বিষয়টি অতিরঞ্জিত, দাবি ইউনুসের
বাংলাদেশে সুফি মাজারগুলি বহু বছর ধরে জাতি বা ধর্ম নির্বিশেষে সকলের উপাসনালয় হিসাবে পরিচিত। সম্প্রতি এগুলিতে হামলার ঘটনা অন্তর্বর্তী সরকারের ক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন তোলে। তাতে স্পষ্🐷ট দেশটিতে মৌলবাদীরা শক্তি সংগ্রহ করছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের কার্য🍸ালয় হামলার জন্য দুষ্কৃতীদের দায়ী করেছে।
যদিও অনেকের দাবি, কট্টরপন্থীরা সুফি মাজারগুলিকে হামলা করেছে। হজরত আমিরুল আউলিয়া সৈয়দ আমিরুজ্জামান শাহ মাজার এলাকায় বসবাসকারী আরিফুজ্জামান আমিরি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ ছিল অনেক আউলিয়ার (দরবেশ) দেশ, যারা ইসলাম প্রচারে সহায়তা করেছিলেন। এর মধ্যে ছিলে💎ন হযরত শাহজালাল, হযরত গোলাপ শাহ, বায়েজিদ বোস্তামী,🦩 শাহ আমানত ও শাহচাঁদ আউলিয়া। তাঁর মতে, মাজারগুলি কেবল মুসলমানদের জন্য স্থান নয়, হিন্দু সহ অন্যান্য ধর্মের লোকেরাও সেখানে যান। তাই অবিলম্বে এই ধরনের হামলা বন্ধ করতে হবে।
মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সুফি মাজারে হামলার নিন্দা করেছে। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সরকার হামলার সঙ্গে জড়িত এই ধরনের অসাধু𒁏 শক্তিকে আইনের আওতায় আনতে এবং তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কাজ করছে। পুলিশকে উপাসনালয় এবং সাংস্কৃতিক স্থান রক্ষার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ত♛াতে আরও বলা হয়েছে, ‘আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলছি যে বাংলাদেশ একটি সম্প্রীতির দেশ থাকবে এবং ধর্মীয় বা সাংস্কৃতিক সহনশীলতাকে বিঘ্নিত করার যেকোনও প্রচেষ্টা বৈষম্য ছাড়াই দৃঢ়ভাবে মোকাবেলা করা হবে।’