খামখেয়ালি আবহাওয়া। সেই সঙ্গেই ইলিশের মতি গতি বোঝাও মুশকিল। এপার বাংলা, কিংবা ওপার বাংলায় উভয় দেশেই পদ্মার ইলিশের প্রতি একটু আলাদা আগ্রহ থাকে মৎস্যপ্রেমীদের। আর এটাই তো ইলিশের মরসুম। মানে ইলশেগুড়ি বৃষ্টি হবে। আর জাল ভরে উঠবে ঝকমকে ইলিশে। এবার যেন সেটা আর হওয়ার নয়। দিনের প𝓀র দিন অপেক্ষাই সার। ইলিশের দেখা নেই পদ্মায়। সব যেন কোথায় লুকিয়ে পড়েছে🔯।
কিন্তু কেন এমন হল?
মৎস্যজীবীদের একাংশের মতে, আসলে এবার অন্যান্যবারের তুলনায় বৃষ্টি কিছুটা কম হয়েছে। তার জেরে সাগর থেকে ইলিশের দল নদীতে সেভাবে আসার সুযোগ পায়নি। সেকারণেই এবার ইলিশ মিলছে না সেভাবে। তার জেরে এমন ইলিশের আকাল। তবে পরিস্থিতি যেদিকে তাতে আচমকা ইলি♍শ মিলবে এমনটা নাও হতে পারে। ভরা মরসুমেও ইলিশের দাম দাঁড়িয়ে ২ হাজা🍨র থেকে আড়াই হাজার টাকা কেজি।
ঝমঝম করে বৃষ্টি হচ্ছে। মাঝেমধ্য়ে রিমঝিম বৃষ্টিও হচ্ছে। আশায় বুক বেঁধে নদীতে যাচ্ছে মৎস্যজীবীরা। বছরের এই সময়টাতেই একটু লাভের মুখ দেখা যায়। কিন্তꦫু কোথায়♔ কী? ইলিশের দেখা নেই। পদ্মা, মেঘনা দুই নদীতেই একই ছবি।
এদিকে বাজারে ইলিশ না আসায় যে কয়েকটি আসছে তার দাম একেবারে প্রচন্ড চড়া। অথচ এই সময়টাতেই ইলিশ খাওয়ার আশায় দিন গোনেন অনেকেই। দামটা একটু সস্তা হয়। ক💧িন্তু এবার আর ইলিশ খাওয়া ভাগ্যে নেই। মানে মধ্যবিত্তের নাগালের মধ্য়ে নেই ইলিশ।
এদিকে সম্প্রতি দিঘা মোহনায় দেখা গিয়েছে একেবারে অন্য ছবি। একের পর এক ট্রলার গভীর সমুদ্র থেকে ফিরেছে। সঙ্গে করে নিয়ে এসেছে রুপোলি শস্য। গত দুবছরে এমন ছবি দেখা যায়নি। দল বেঁধে পর্যটকরা সেই ইলিশ দেখতে গিয়েছেন। কলকাতার বাজারেও সেই ইলিশ আসার সম্ভাবনা। যোগান বাড়লে দাম কিছুটা কমতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। রবিবারও ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হচ্ছিল। তার মধ্যে পর্যটকরা দিঘার মোহনায় ভিড় জমান। তবে সবাই যে দল বেঁধে ইলিশ কিনছেন এমনটা নয়। আসলে এꦬভাবে এত ইলিশ দেখার ব্যাপারটাই আলাদা।
কিন্তু বাংলাদেশে আবার অন্য ছবি। একের প♛র এক ট্রলার, নৌকো কার্যত খালি হাতে ফিরে আসছে। মন ভালো নেই𓆏 মৎস্যজীবীদের একাংশের। তবে মৎস্য বিশেষজ্ঞদের মতে, অনেক সময় সেপ্টেম্বর- অক্টোবর মাসেও ইলিশ ধরা পড়ে। সেক্ষেত্রে আরও কিছুটা অপেক্ষা করতে হবে।