আজ, বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হতে চলেছে।𝔉 যার প্রধান হবেন শান্তিতে নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনুস। তাঁর আজ শপথগ্রহণও হবে। তাই প্যারিস থেকে বাংলাদেশে ফিরলেন মহম্মদ ইউনুস। আজ স্থানীয় সময় দুপুর ২টো ১০ মিনিট নাগাদ ইউনুস ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন। সেখানে তাঁকে স্বাগত জানান সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান–সহ অন্যান্যরা। আর তখনই সেখানে উপস্থিত হন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। ঢাকায় ফিরেই প্রথম বক্তৃতাতেই ইউনুস বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করাই হবে তাঁর প্রথম কাজ। আর যাতে হামলা না হয় আহ্বান করেছেন তিনি।
এদিকে সেনাবাহিনীর হাতে থাকা বাংলাদেশে চরম আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে বলে অভিযোগ। মানুষের জীবন–জীবিকার উপর হামলা হয়েছে। হিংসা, হানাহানি, লুঠপাট এবং অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনা ঘটে চলেছে। এই আবহে ইউনুস বলেন, ‘আমার ওপর আস্থা রাখুন। এই স্বাধীনতা আমাদের রক্ষা করতেই হবে। নতুন বিজয়ে বাংলাদেশ নতুন বিজয় দিবস শুরু করল। আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। যারা এটি করেছে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা রইল। ত♎ারা দেশকে রক্ষা করেছে। দেশকে নতুন জন্ম দিয়েছে। আজকে আমার আবু সাঈদের কথা মনে পড়ছে। যে আবু সাঈদের কথা দেশের প্রত্যেকটি মানুষের মনে গেঁথে আছে।’
আরও পড়ুন: ‘যে পথে যেতে হবে সে পথে তুমি একা’, বুদ্ধদেবের সা⛦মনেই একথা বলেছিলেন মমতা
অন্যদিকে কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন মহম্মদ ইউনুস। আবেগপ্রবণ গলায় বলতে থাকেন, ‘প্রতিটি মানুষের মনে তা গেঁথে আছে। যা কেউ ভুলতে পারবে না। কি অবিশ্বাস্য একটা সাহসী যুবক। বন্দুকের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। তারপর থেকে কোনও যুবক–যুবতী আর হার মানেনি। সামনে এগিয়ে গিয়েছে। যত গুলি মারো মারতে পারো। আমরা আছি। যার কারণে এটা সারা বাংলাদেশ জুড়ে এই আন্দোলন ছড়িয়ে গিয়েছে। এই স্বাধীনতাকে রক্ষা করতে হবে। প্রত্যেকটি মানুষের কাছে এটার সুফল পৌঁছে দিতে হবে।’ আজ স্থানীয় সময় রাত ৮টা নাগাদ ঢাকার বঙ্গভবনে অন্তর্বর্তীকালীন🏅 সরকারের শপথ অনুষ্ঠান হবে। তার প্রস্তুতি নেওয়া চলছে।
এছাড়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সদস্য ১৫ জনের মতো ꧑হতে পারেন। সেখানে কারা থাকবেন সেটা ঠিক করতে লিয়াজো কমিটি গঠন করা হয়েছ🔴ে। তবে মহম্মদ ইউনুসের কথায, ‘স্বাধীনতার অর্থ হল, দেশ তোমাদের হাতে। তোমাদের মনের মতো করে গড়তে পারো। পালটে ফেলতে পারো। পুরোনোদের বাদ দাও। তোমাদের মধ্যে সৃজনশীলতা আছে। সেটাকে কাজে লাগাও। আগের সরকার হয়ে উঠেছিল দমনপীড়নের একটি যন্ত্র। এটা সরকার হতে পারে না। সরকারকে দেখে মানুষ উৎফুল্ল হবে। যে সরকার মানুষকে রক্ষা করবে। আমাদের সারা বাংলাদেশ একটি পরিবার। মানুষ মানুষকে আক্রমণ করছে। সংখ্যালঘুদের উপর হামলা চলছে। সবাইকে রক্ষা করা আমাদের কাজ। প্রত্যেকটা মানুষ আমাদের ভাই। বিশৃঙ্খলা অগ্রগতির বড় শত্রু। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা আমাদের প্রথম কাজ।’