বছরের শেষ লগ্ন ডিসেম্বরে রয়েছে ভোট পর্ব। মোদীগড় গুজরাতে কার্যত বিজেপির শক্তি পরীক্ষার লড়াই রয়েছে আসন্ন। তার আগে গুজরা♏তের সরকারি কর্মীচারিদের একটা বড় অংশ প্রতিবাদের ঝড় তুল✤েছে রাজ্যে। সেখানে সরকারি কর্মচারিরা আরও ভালো বেতন ও কাজের সুযোগ সুবিধার দাবিতে এবার সরব হয়েছেন।
উ𓂃ল্লেখ্য, গুজরাতের ভোটে নজর রয়েছে আম আদমি পার্টির। তার প্রচারে গিয়ে কার্যত সরকারি কর্মচারিদের পরিস্থিতি তুলে ধরে সরব হন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এদিকে, শনিবার গান্ধীনগরে শতাধিক সরকারি কর্মী প্রতিবাদের ঝড় তোলেন। তাঁদের দাবি, বেতন কাঠামোর উন্নতি করতে হবে। কোভিডের সময় ১৩০ দিনের কাজের বেতন দিতে হবে। আর পুরনো পেনশন স্কিম ফিরিয়ে আনত হবে। গুজরাতের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ফেডারেশনের তরফে বিরল দেশাই বলেন, 'আমরা আমাদের অনশনের চতুর্থ দিনে রয়েছি। আমাদের দুটি মূল দাবিতে সরকার সম্মতি জানিয়েছে। তবে টেকনিক্যাল স্টাফদের কাজের প্রোফাইল নিয়ে কিছু বলা হয়নি। আমরা চাইছি সরকার আমাদের লিখিতভাবে জানাক। নোটিসের মতো করে জানাক, যা পূরণ করতে না পারলে আমরা আমাদের আন্দোলন আরও বাড়াবো।' এর আগে সরকারি কর্মচারিদের নিয়োগ ইস্যুতেও একটি এফআইআরের প্রসঙ্গ উঠে আসে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে ভোটের আগে এই ধরনের প্রতিবাদ আরও বাড়বে। কারণ এই সময়কেই চাপ সৃষ্টির মূল সময় বলে মনে করা হয়।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই একই প্যাটার্ন উত্তরপ্রদেশের ভোটেও দেখা গিয়েছে। সেখানে সমাজবাদী প♓ার্টির ভোট শেয়ারের অঙ্ক বেড়ে যাওয়াﷺর নেপথ্যে রয়েছে ৮ থেকে ৩১ শতাংশ গ্রামীণ ভোটব্যাঙ্ক। যাদের মধ্যে কৃষক সমাজ ও সরকারি কর্মচারিরও ছিলেন। উল্লেখ্য, সরকারি কর্মচারিতে পুরনো পেনশন স্কিম পাল্টানো হয়। তার জায়গায় এলপিএস আসে। এর আগে সরকারি কর্মচারিরা ডিএর সঙ্গে সংযুক্ত পেনশন পেতেন। তবে এখন তা হয় না। অটলবিহারী বাজপেয়ীর আমলের এনডিএ সরকারের সময় থেকেই এই নিয়মে পরিবর্তন এসেছে।