অবতরণের আগেই বিমানের আপৎকালীন দরজা খোলার চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল বাঁকুড়ার যুবককে। জামিন পেলেন কলেজ পড়ুয়া সেই যুবক। অন্যের জীবনকে বিপন্ন করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৩৬ ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ওই ছাত্র কৌশিক করণ কলকাতা থেকে ইন্ডিগো বিমান𝄹ে করে বেঙ্গালুরু গিয়েছিলেন এক আত্মীয় সঙ্গে দেখা করতে। তখনই মাঝ আকাশে বেঙ্গালুরুর কেম্পেগৌড়া বিমানবন্দরে অবতরণের আগেই বিমানের আপৎকালীন দর💧জা খোলার চেষ্টার অভিযোগ ওঠে কৌশিকের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: ဣঅবতরণের আগেই মাঝ আকাশে আপৎকালীন দরজা খোলার চেষ্টা বাংলার বাসিন্দার!
বিমানবন্দরের অবতরণের পরেই ওই ছাত্রকে সিআইএসএফের হাতে তুলে দিয়েছিলেন বিমান কর্মীরা। পরে তাকে বেঙ্গালুরু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে পুলিশ। তবে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে যুবক দাবি করেছিলেন, তিনি প্রথমবার বিমানে করে সফর করেছেন। সেই কারণে তিনি নিয়ম সম্পর্কে অবগত ছিলেন না। মধ্যরাতে তাকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পুলিশের হেফাজতে হাতে তুলে দেওয়া হয়। ইন্💮ডিগোর কর্মী মহম্মদ উমর পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই যুবকের বিরুদ্ধে।
এবিষয়ে পুলিশের ডিসি (উত্তর-পূর্ব) লক্ষ্মী প্রসাদ বলেছে꧙ন, ইন্ডিগোর কর্মীর অভিযোগের ভিত্তিতে বিমানবন্দর পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৩৬ ধারার অধীনে একটি মামলা নথিভুক্🐼ত করেছে। পরে আদালতে তোলা হলে তাকে জামিন দেন বিচারক। তবে সেক্ষেত্রে যুবক দোষী প্রমাণিত হলে তার ৩ মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।
জানা গিয়েছে, বাঁকুড়ার বাসিন্দা ওই ছাত্র ইন্ডিগোর বিমানে চড়ে কলকাতা থেকে বেঙ্গালুরু যাচ্ছিলেন। তাঁর সিট নম্বর ১৮। উল্লেখযোগ্যভাবে এই আসনটি ছিল বিমানের আপৎকালীন দরজার ঠিক পাশেই। তিনি বিমানে ওঠার পর কোনওরকমের অভব্য আচরণ করেননি। তবে বিমানটি বেঙ্গালুরুর কাছাকাছি আসতেই অবতরণের ঠিক আগেই আপৎকালীন দরজা খোলার চেষ্টা করেন তিনি। তখন বিষয়টি কেবিন ক্রুদের চোখে পড়লে তারা তড়িঘড়ি সেখানে ছুটে গিয়ে ওই যাত্রীকে সরিয়ে নেন। তবে এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেশ আতঙ্ক তৈরি হয় বিমানের মধ্যে। উল্লেখ্য, গতꦫ বছর একই ধরনের অভিযোগ উঠেছিল দিল্লি - বেঙ্গালুরু ইন্ডিগো বিমানে। ৪০ বছর বয়সি এক য🦩াত্রী বিমানের আপৎকালীন দরজা খোলার চেষ্টা করছিলেন। তিনি মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত তাকে আটকে ফেলেন বিমান কর্মীরা।