অনলাইনে জালিয়াতি, প্রতারণা রোখাই যাচ্ছে না। বরং বেড়েই চলেছে সাইবার ক্রাইম। এবার এক নতুন ছকে বিপুল পরিমাণ টাকা🐈 হাতিয়ে নিল সাইবার প্রতারকরা। যদিও এই প্রতারকদের এখনও ধরতে পারেনি পুলিশ। তবে তদন্ত চলছে। এক বৃদ্ধ মহিলা প্রায়ই অনলাইনে গ্রসারির দোকান থেকে দুধ কেনেন। কিন্তু এদিন তিনি দুধ কিনে দেখেন সেই দুধ খারাপ। ত𝄹াই তিনি তা ফেরত দেওয়ার চেষ্টা করেন অনলাইনেই। আর সেটা করতে গিয়েই দেখেন তাঁর ৭৭ হাজার টাকা খোয়া গিয়েছে। সাইবার প্রতারকদের হাতে পড়েছেন বুঝতে পেরে ওই বৃদ্ধ মহিলা পুলিশে যোগাযোগ করেছেন।
এদিকে ওই বৃদ্ধ মহিলা সোফিয়া (নাম পরিবর্তিত) যখন দুধ ফেরত দেওয়ার জন্য চেཧষ্টা করছিলেন অনলাইনে তখন সাইবার প্রতারক তাঁকে꧒ অনুসরণ করতে থাকে। তারপর দুধ ফেরত নেওয়ার অছিলায় ওই বৃদ্ধার ইউপিআই পেমেন্ট পিন জেনে নেয়। আর তাঁকে প্রতারণা করে বলে অভিযোগ। কস্তুরবা নগরের বাসিন্দা এই বৃদ্ধা প্রত্যেকদিন মহীশূর রোডের অনলাইন গ্রসারির দোকান থেকে দুধ কেনেন। মার্চ মাসের ১৮ তারিখ তিনি খারাপ দুধ পান। যা ফেরত দেওয়ার চেষ্টা করেন। তখন ওই সাইবার অপরাধী তাঁকে নির্দেশ দিতে থাকে কেমন করে ফেরত দিতে হবে। আর সেই পথ অনুসরণ করে বৃদ্ধা এগোতেই খোয়ালেন ৭৭ হাজার টাকা।
আরও পড়ুন: এবার কিউআর কোড স্ক্যানিং পে🐻ম﷽েন্ট সিস্টেম চালু করল রেল, হাওড়ায় বড় পদক্ষেপ
অন্যদিকে এই বৃদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত সেনা জওয়ানের স্ত্রী। খারাপ দুধ ফেরত দেওয়ার জন্য অনলাইনে কাস্টমার কেয়ার নম্বর খুঁজছিলেন। সেই নম্বর খোঁজার সময় একজন সাড়া দেয়। নিজেকে ওই গ্রসারি দোকানꦚের কর্মী বলেই পরিচয় দেয় সে। তখন ওই বৃদ্ধা দুধ ফেরত দিতে চাইলে প্রতারক পদ্ধতি ব🍌লে দেয়। যা ধরতে পারেননি ওই বৃদ্ধা সোফিয়া। তারপর ওই বৃদ্ধার ফোনে একটি হোয়াটসঅ্যাপ আসে। যেখানে লেখা ছিল ইউপিআই আইডি নম্বর—০৮১৯৫৮। প্রতারক ওখানে ক্লিক করে ফেরতযোগ্য টাকার পরিমাণ বসাতে বলে। তারপর সেটা অনুসরণ করতে বলে। ওই বৃদ্ধা তা অনুসরণ করে এগোতে থাকেন। আর সেখানেই সব তথ্য দিয়ে দেন।
এরপর মোবাইল নম্বর শেষ পাঁচটি নম্বর সেখানে দেওয়া হয়। নতুন পাতা খুললে সেখানে পে শব্দটির উপর ক্লিক করতে বলেন। টাকা ফেরত পেতে এটাই পদ্ধতি বল🍒া হয় বৃদ্ধাকে। আর তা করতেই ফোনের লাইন কেটে দেওয়া হয়। তখন তিনি দেখেন তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা ডেবিট হয়ে গিয়েছে। তখনই তিনি সাইবার হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করেন। এই বিষয়ে এক পুলিশ অফিসার বলেন, ‘আমরা এই অভিযোগ গ্রহণ করেছি। আর তদন্ত শুরু করেছি। প্রতারকের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে।’ বেঙ্গালুরুর এই ঘটনায় এখন আলোড়ন পড়ে গিয়েছে।