জল সরবরাহের কল, সোফা সেট থেকে শুরু করে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র - এসবই চুরির অভিযোগ উঠেছে বিহারের প্⛎রাক্তন দুই মুখ্যমন্ত্রী - লালুপ্রসাদ যাদব এবং রাবড়ি দেবীর ছেলে, তথা সে 🦄রাজ্যের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবের বিরুদ্ধে!
বলা হচ্ছে, তিনি নাকি পটনায় অবস্থিত উপমুখ্যমন্ত্♏রীর সরকারি বাসভবন থেকে বহু আসবাব এবং অন্যান্য দামি সামগ্রী চুরি করে নিয়ে গিয়েছেন! সোমবার তাঁর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ꩵতুলেছেন শত্রুধন কুমার।
ঘটনাচক্রে এই শত্রুধন কুমার হলেন বিহা🎀রের বর্তমান উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরীর ব্যক্তিগত সꦆচিব। তাঁর দাবি, উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ খোয়ানোর পর, লালু-রাবড়ি পুত্র তেজস্বী যখন পটনার এই সরকারি বাসভবন থেকে পাত্তারি গোটাচ্ছিলেন, তখনই উপরোক্ত সামগ্রীগুলি চুরি করে নিয়ে যান তিনি!
প্রসঙ্গত, রবিবারই ওই সরকারি বাসভবনটি🍷 খালি করে দেন তেজস্বী। কারণ, বর্তমানে ওই বাড়িটি সম্রাট চৌধুরীর থাকার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। এদিকে, তেজস্বী বাড়ি খালি করার পর ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই তাঁর নামে আসবাব চুরির অভিযোগ উঠল!
প্রসঙ্গত, বিহারের নয়া উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরী রাজ্য ব🔯িজেপির অন্যতম নেতাও বটে। তাই, তাঁর ব্যক্তিগত সচিব যখন তেজস্বীকে কাঠগড়ায় তুলেছেন, তখন তাতে বিজেপির সায় রয়েছে বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশ।
এদিক দিয়ে দেখতে গেলে বিজেপির সুরে সুর মিলিয়েছে র🌳াজ্য়ের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের দল জনতা দল (সংযুক্ত)-ও। তাদের বক্তব্য হল, উপমুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি থেকে অনেক আগেই অপসারিত হয়েছেন তেজস্বী যাদব। সেই হিসাবে অনেক আগেই তাঁর ওই সরকারি বাংলো খালি করে দেওয়া উচিত ছিল।
কিন্তু, তেজস্বী করেননি। তিনি সরকারি বাসভবন ছেড়েছেন রবিবার।✃ তাঁ🦂র এই 'দীর্ঘসূত্রিতা'কে দুর্ভাগ্যজনক বলে কটাক্ষ করেছেন জনতা দলের নেতারা।
এই প্রসঙ্গে জেডিইউ-এর তরফে দলের মুখপাত্র নীরজ কুমারকে বলতে শোনা যায়, 'এটা এমনিতেই অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। ত𝔉ার উপর, তেজস্বী দামি জিনিসপত্রও সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছেন!'
স্বাভাবিকভাবেই দলের নেতার বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ মানতে নারাজ আরজেডি। তাদের বক্তব্য, পুরোটাই আসলে নোংরা রাজনীতি। আর সেই নোংরা রাজনীতির জন্য🐷 বিজেপির পাশাপা𒈔শি জেডি(ইউ)-কেও দোষারোপ করেছে তারা।
এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে দলের মুখপাত্র মৃত্যুঞ্জয় তিওয়ারি বলেন, তেজস্বী যাদবের বিরুদ্ধে যে সমস্ত অভিযোগ করা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ মি✅থ্যা এবং ভিত্তিহীন।
মৃত্যুঞ্জয়ের আরও দাবি, বিজেপি আসলে খুবই সস্তার রাজনীতি করছে। সেই কারণেই রাজ্যের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রীর✨ বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলেছে তারা।