হরিয়ানায় কৃষক আন্দোলনকে কেন্দ্র করে এমনিতেই যথেষ্ট অসস্তিতে পড়তে হয়েছে বিজেপিকে। তার ওপর বিধানসভা নির্বাচনের আগে দুই কুস্তিগীর ভিনেশ ফোগাট ও বজরং পুনিয়ার কংগ্রেসে যোগ দেওয়া নিয়ে ব🔥িতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন বিজেপি নেতা ব্রিজভূষণ শরণ সিং। তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এবার কুস্তিগীরদের নিয়ে ব্রিজভুষণকে মুখ বন্ধ রাখার জন্য সতর্ক করল বিজেপি।
আরও পড়ুন: ভিনেশের দুর্ভাগ🦩্যে মুখ খুললেন ব্রিজভূষণের দুই ছেলেই, তদন্তের দ🐓াবি অখিলেশ যাদবের
দুই কুস্তিগীর কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পরেই কুস্তি ফেডারেশনের প্রাক্তন প্রধান বলেছিলেন, ‘ভিনেশের অলিম্পিকে পদক হা🍌তছাড়া হওয়াটা তাঁর পাপের ফল।’ একইসঙ্গে আন্দোলনের নামে কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। প্রতিবাদী কুস্তিগীরদের অভিযুক্ত করে ব্রিজভূষণ বলেছিলেন, তাঁদের আন্দোলন নারীদের সম্মানের জন্য ছিল না, রাজনৈতিক লাভের জন্য আন্দোলনকে ব্যবহার করা হয়েছে। এর জন্য ভূপিন্দর হুডা, দীপেন্দ্র হুডার ওপর অভিযোগ তুলে তিনি আরও বলেছিলেন, তাঁরা রাজনীতিতে কন্যাদের ব্যবহার করে তাঁরা মানহানি করেছে। তারা মেয়েদের সম্মানের জন্য নয়, রাজনীতির জন্য লড়াই করছিল এতদিন।
এছাড়াও তিনি পুনিয়ার মানসিক অবস্থার অবনতি হয়েছে বলে দাবি করেছিলেন এবং ভিনেশকে নিয়ে অভিযোগ তুলেছিলেন যে তিনি প্রতারণা করে প্যারিস অলিম্পিকে গিয়েছিলেন, যার ফলে ঈশ্বর শাস্তি দিয়েছেন। তাঁর এই মন্তব্য সামনে আসতেই তুমুল শোরগোল পড়ে যায়। এরপরেই বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা ব্রিজ ভূষণকে চুপ থাকার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।অন্যদিকে, শুক্রবার দুই কুস্তিগীরের কংগ্রেস দলে যোগ দেওয়া নিয়ে হরিয়ানার প্রবীণ বিজেপি নেতা অনিল ভিজ মন্তব্য করেছিলেন যে ফোগাট যদি ‘দেশ কি বেটি’ থেকে ‘কংগ্রেস কি বেটি’ হতে চান তবে ꦺদলের কোনও আপত্তি নেই।
প্রসঙ্গত, কংগ্রেস জুলানা থেকে ফোগাটকে প্রার্থী করেছে। আর পুনিয়াকে কংগ্রেসের কৃষক শাখার কার্যকরী চেয়ারম্যান হিসাবে নিযুক্ত করেছে। ফোগাট এবং পুনিয়া দলে যোগ দেওয়ার ফলে উত্তর হরিয়ানায় কংগ্রেসের হাত শক্ত হবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কারণ এই দুই কুস্তিগীর বিজেপির বিরুদ্ধে কৃষকদের আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। এমনকী ব্রিজ ভূষণের বিরুদ্ধে ꦰবিক্ষোভের সময় কৃষকরাও কুস্তিগীরদের সমর্থন করেছিল।