উত্তরপশ্চিম পাকিস্তানের সোয়াট প্রদেশে পুলিশ স্টেশনে ভয়াবহ বিস্ফোরণে প্রাণ হারালেন অন্তত পক্ষে ১৩ জন। এর মধ্যে ১২ জন পুলিশ অফিসার বলেই জানা গিয়েছে। এছাড়া ঘটনায় অন্তত পক্ষে ৫০ জন আহজ হয়েছেন। এদের মধ্যে অনেকেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঘটনাটি ঘটে সোমবার সন্ধ্যায়। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের সন্ত্রাস দমন দফতরের অস্ত্র ভাণ্ডারে বিস্ফোরণটি ঘটেছিল। সেখান থেকেই এই বিস্ফোরণ ঘটে। পুলিশ স্টেশনের ভেতরে পরপর দু'টি বিস্ফোরণের আওয়াজ শোনা যায় বলে জানানো হয়েছে জিও টিভির রিপোর্টে। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে গোটা বিল্ডিং প্রায় ধ্বংস হꦆয়ে গিয়েছে।
খাইবা𓃲র পাখতুনখাওয়া পুলিশের আইজি আখতার হায়াত খান জানিয়েছেন, ঘটনার পরই গোটা প্রদেশে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। এদিকে সন্ত্রাস দমন দফতরের ডিআইজি খালিদ সোহেল জানান, এই হামলাটি আত্মঘাতী ছিল না। এমনকী বাইরে থেকে কেউ গুলি করেনি বা বোমা ছোড়েনি। তিনি জানান, যেখানে গোলাবারুদ এবং মর্টার শেল রাখা থাকত, সেখানেই বিস্ফোরণটা হয়। পরে সোয়াট প্রদেশের পুলিশের মুখপাত্র এক বিবৃতি প্রকাশ করে জানান, 'খুব সম্ভবত' শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগে আর তার থেকেই বিস্ফোরণ ঘটে। বাইরে থেকে হামলার কোনও তথ্যপ্রমাণ এখনও মেলেনি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালের আগে এই সোয়াট প্রদেশের কার্যত কট্টরপন্থী ইসলামি জঙ্গিদের কব্জায় ছিল। পরবর্তীতে পাকিস্তানি প্রশাসন এই অঞ্চলকে জঙ্গি মুক্ত করত♛ে সমর্থ হয়। তবে এখনও এই অঞ্চলে জঙ্গি কার্যকলাপ বজায় রয়েছে। তাই সন্ত্রাস দমন ইউনিটের ভালো উপস্থিতি রয়েছে এই উপত্যকায়। এই উপত্যকাতেই ২০১২ সালে মালালা ইউসুফজাইকে গুলি মেরেছিল ইসলামি জঙ্গিরা। এই আবহে বিস্ফোরণের পর প্রাথমিক ভাবে মনে করা হয়েছিল যে জঙ্গি হামলার কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে। তবে তদন্🐲ত শুরুর পর প্রাথমিক অনুমান, নিছক দুর্ঘটনা থেকে এই কাণ্ড ঘটেছে। এতে কান লাল হয়েছে পাক প্রশাসনের। সিটিডি-র ডিআইজি খালিদ সোহেল মেনে নিয়েছেন যে অসাবধানতার কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে। তবে তদন্ত জারি রয়েছে। সব দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।