প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পরেই ভারতকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে হুঁশিয়ারি দিতে শোনা গিয়েছে বাংলাদেশের নতুন সরকারের বিভিন্ন উপদেষ্টা এবং বཧিএনপি নেতাদের। এবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের অধীনে গত ১৫ বছরে ভারতের সঙ্গে যা যা চুক্তি হয়েছে তা সব বাতিলের দাবি জানাল বিএনপি। তারা শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের স্বাক্ষরিত হওয়া চুক্তিগুলিকে ‘গোপন’ এবং ‘অন্যায়’ বলে উল্লেখ করে বাতিলের দাবিতে সরব হয়েছে।
আরও পড়ুন: 🧸হাসিনা সহ আগের জমানার𝕴 সব মন্ত্রীদের কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করছে বাংলাদেশ
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী শনিবার বলেন, ’বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের সঙ্গে আপোষ করে ভারতের সঙ্গে শেখ হাসিনার ✨করা সব গোপন ও অন্যায় চুক্তি প্রত্যাহার করার জন্য আমি অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।’ যদিও সম্প্রতি বাংলাদেশের বিদেশ বিষয়ক উপদেষ্টা মহ🍬ম্মদ তৌহিদ হোসেন জানিয়েছিলেন, যে বাংলাদেশ আপাতত কোনও দেশের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করছে না । অর্থাৎ হাসিনার আমলে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যে সমস্ত চুক্তি হয়েছিল সেগুলি বজায় থাকবে। তবে বিএনপি নেতার এই দাবি বাংলাদেশের নতুন সরকারের মতাদর্শের বিরোধী বলেই মনে হচ্ছে।
বিಌএনপি নেতা আরও বলেছেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জনগণের ওপর দিনের পর দিন যে নিপীড়ন চালিয়েছেন, ভারত কেন তা উপেক্ষা করেছে? তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিএনপির রিজভী।ভারতের উদ্দেশে রিজভী কটাক্ষের সুরে বলেন, ‘প্রতিবেশী দেশ ভারত কি জানে না যে গত ১৫ বছর ধরে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জনগণকে কী পরিমাণে অত্যাচার করেছে। ভারত কিཧ বাংলাদেশকে, বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে মর্যাদা দিতে চায় না? ভারত কি বাংলাদেশের জনগণের ইচ্ছা ও অনিচ্ছার ওপর কোনও গুরুত্ব দিতে চায় না?’
এছাড়াও এদিন বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক সাইফুল আলম নিরব, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য তারিকুল আলম তেনজিং, মাহবুবুল ইসলাম, যুবদলের প্রাক্তন সহসভাপতি রুহুল আমিন আকিল, মেহেবুব মাসুম শান্ত, জাকির হোসেন প্রমুখ। প্রসঙ্গত, সরকার বদলের পরেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জমছে মামলার পাহাড়। তাঁর বিরুদ্ধে খুন, অপহরণ সহ একাধিক মামলা রুজু করেছে বাংলাদেশ পুলিশ। এরইমধ্যে হাসিনা এবং প্রাক্তন মন্ত্রী, সাংসদদের কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করেছে বাং🏅লাদেশ সরকার। যার ফলে আরও অস্বস্তিতে পড়েছেন শেখ হাসিনা।