যত দ্রুত সম্ভব বাংলাদেশে একটি নতুন ও স্থায়ী সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শেষ 🐻করতে চান বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস। শনিবার তাঁর সঙ্গে একঘণ্টার বৈঠক সেরে একথা জানান বিএনপি-র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
উল্লেখ্য, এদিন স্থানীয় সময় দুপুর আড়াইটে থেকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিএনপি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ইউনুস। বিএনপি-র ছয় সদস্যদের প্রতিনিধি ꦉদলের নেতৃত💯্বে ছিলেন মির্জা ফখরুল।
তিনি জানান, তাঁদের তরফে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে বেশ কিছু দাবি-দাওয়া পেশ করা হয়েꦑছে। যার মধ্যে অন্যতম হল, নির্বাচনী রুট ম্যাপ।
এদিন আড়াইটে থেকে দুপুর সাড়ে তিনটে পর্যন্ত বিএনপি নেতৃত্বের সঙ্গে নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন মꦉহম🌜্মদ ইউনুস। সেই সময় উৎসুক সাংবাদিকরা যমুনার বাইরেই অপেক্ষা করছিলেন।
বৈঠক শেষে মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জানান, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মূলত দ্রুত পরবর্তী নির্বাচন 🌜সম্পাদন, নির্বাচনব্যবস্থার সংস্কার ও নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে তাঁদের আলোচনা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা দ্রুত নির্বাচন করার উপরে জোর দিলেও, সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে ♉তাঁর নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার কীভাবে এগোবে, তারই একটি রোড ম্যাপ বিএনপি-র তরফ থেকে মির্জা ফখরুল চেয়েছেন বলে সাংবাদিকদের জ𝓀ানিয়েছেন।
এর পাশাপাশি, হাসিনা সরকারের সময়কার বেশ কিছু পরিকল্পনা বাতিল করার আবেদনও জানিয়েছে বিএনপি প্রতিনিধি দল। যেমন - জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানের 💃বিষয়🧸টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য যে আইন প্রণয়ন করা হয়েছিল, তা বাতিল করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সেইসঙ্গে, পূর্বতন সরকারের আমলে উঁচু পদে বসে থাকা একাধিক ব্যক্তিকে পদচ্যুত করে, প্রয়োজনে তাঁদের বিরুদ্ধে দে🍸শদ্রোহিতার অভিযোগ তুলে আইনানুগ পদক্ষেপ করারও আবেদন জানিয়েছেন বিএনপি-র প্রতিনিধিরা।
এক্ষেত্রে তাঁদের নিশানায় প্রথমেই যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন প্রাক্তন বিচারপতি খায়রুল হক। এই প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের বলেন, 'আমরা মনে করি, বিচারপতি খায়রুল হক নির্বাচনব্যবস্থাকে ধ্বংস করার মূল হোতা। কারণ, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায় দিয়ে এই বিচারপতিই নির্বাচনব্যবস্থাকে ধ্বংসের মূল ভূমিকা পালন করেন। তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়💝ার কথা বলেছি রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধে।'
এছাড়াও, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়কার একাধিক নেতা, মন্ত্রী ও আমলার বিরুদ্ধে আইনি পদক্✅ষেপ করার কথা বলেছেন মির্জা ফখরুল ও তাঁর দলীয় সহকর্মীরা।