কর্ণাটকের পর এবার ত্রিপুরা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফের একবার হিজাব বিতর্ক ঘিরে অপ্রীতিকর ঘটনার ছবি উঠে এল। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, হিজাব পরিহিত পড়ুয়াদের ক্লাসে ঢুকতে না দেওয়ার বিরোধিতা করায় এক দশম শ্রেণির ছাত্রকে মারধর করার অভিযোগ সামনে এসেছে।🎉
দশম শ্রেণির পড়ুয়া ইলিয়াস সরকার সুমনকে ক্লাস থেকে টেনে বের করে দক্ষিণ পন🥃্থীরা মারধর করেছে বলে অভিযোগ। এখানেই শেষ নয়। গোটা স্কুলের সামনে তাকে মারধর করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবর অনুযায়ী, স্কুলের সকলের সামনে ইলিয়াসকে মারধর করা হলেও কোনও শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষককে সেই মারধর থামাতে দেখা যায়নি।ত্রিপুরার করুইমুরা হাইস্কুলে এই ঘটনা ঘটেছে। সেখানে একদল ছাত্রদের মধ্যে হিন্দু-মুসলিম প্রসঙ্গে কথা কাটাকাটি চলছিল। এরপরই তা মাত্রাতিরিক্ত পর্যায়ে চলে যায়। তারপর শুরু হয় দুই পক্ষের বচসা। ঘটনার সূত্রপাত ছিল, হিজাব পরিহিত ছাত্রীদের শিক্ষা পဣ্রতিষ্ঠানে কেন ঢুকতে দেওয়া হবে না, সেই সওয়াল জবাব পর্ব চলাকালীন ইলিয়াসকে ব্যাপক মারধর করা হয়। ত্রিপুরার সিহাপিজালা জেলার বিশালগড় সাবডিভিশনের আওতায় এই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে গিয়েছে। ঘটনার পর থেকে থমথমে ত্রিপুরা। এদিকে, ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন সেখানের সাধারণ মানুষ।
এদিকে, পিটিআইয়ের একটি রিপোর্ট বলছে, স্কুলে মুসলিম ছাত্রীদের হিসাব পরে ক্লাসে ঢোকার অনুমতি না দেওয়ার পর, স্কুলে ভাঙচুর শুরু করে ইলিয়াস সমেত কয়েকজন। স্কুল ওই ছাত্রীদের বলে, হিজাব নয়, তার জায়গায় স্কুল ইউনিফর্ম পরে স্কুলে আসতে হবে। এরপরই ইলিয়াস সমেত কয়েকজন শুরু ꦜকরে ভাঙচুর। এদিকে, স্কুলে ইলিয়াস ওই ভাঙচুর চালানোর পর তাকে স্কুলের বাইরে নিয়ে গিয়ে স্কুলের সামনে মারধর করে একদল যুবক। এমনই অভিযোগ রয়েছে। প্রভুরামপুরের বাসিন্দা ইলিয়াসকে এরপরই তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় আহত অবস্থায়। স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন, তিনি সকল পড়ুয়াকে স্কুলের ইউনিফর্ম পরে স্কুল আসাল নির্দেশ দেন। তিনি বলছেন, ‘হিজাব পরে স্কুলে আসা কিছু পড়ুয়া তাঁকে জানিয়েছিল যে তারা ইউনিফর্ম পরতে পারবে না কারণ তা ধর্মীয় বিশ্বাস।’ এদিকে, প্রধান শিক্ষককের সঙ্গে কিছুদিন আগে স্কুলের কিছু প্রাক্তনী বৈঠক করে বলে খবর। প্রধান শিক্ষক বলছেন, এই প্রাক্তনীরাও তাঁকে সকলের হিজাব পরে আসার ব্যাপারে জোর দেন। জানা যাচ্ছে, এই প্রক্তনীদের মধ্যে অনেকেই বিশ্বহিন্দু পরিষদের সদস্য।