কানাডায় নিযুক্ত ভারতের শীর্ষ কুটনীতিকদের ইতিমধ্যেই দেশে ফিরিয়েছে দিল্লি। এদিকে কানাডার কুটনীতিকদের ভারত থেকে করা হয়েছে বহিষ্কা💎র। এই আবহে কানাডায় এখনও যে সকল ভারতীয় কুটনীতিক আছেন, তাঁদের নিয়ে কড়া বার্তা দিলেন সেদেশের বিদেশমন্ত্রী মেলানি জোলি। শুক্রবার তিনি এই ইস্যুতে বলেন, 'কানাডায় থাকা ভারতীয় কুটনীতিকরা স্পষ্টতই নোটিশে আছেন। তাঁরা যাতে কোনও 💫কানাডিয়ান নাগরিকের জীবনকে ঝুঁকির মুখে না ফেলেন।'
কানাডার বিদেশমন্ত্রীর কথায়, 'আমাদের ইতিহাসে আমরা এর আগে এমন ঘটনার সাক্ষী থাকিনি। ভিনদেশিরা কানাডার মাটিতে এমন জুলুম চালাতে পারে না। এর আগে আমরা ইউরোপে এমন দেখেছিলাম। জার্মানি এবং ব্রিটেনে এমনটা করেছিল রাশিয়া। তাই আমাদের এই ক্ষেত্রে কড়া অবস্থান নিতে হত।' এরপর ꧒তিনি বলেন, 'ভারতের ৬ কুটনীতিককে আমরা ইতিমধ্যেই বহিষ্কার করেছি। তাঁদের মধ্যে ওট্টাওয়ায় নিযুক্ত হাইকমিশনার আছেন। এছাড়া টরোন্টো এবং ভ্যনকুভারে নিযুক্ত কয়েকজন আছেন। ভিয়েনা কনভেনশন লঙ্ঘনকারী কোনও কুটনীতিককেই আমরা সহ্য করব না।'
ভারত-কানাডার কুটনৈতিক দ্বন্দ্ব
প্রসঙ্গত, ভারত-কানাডার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছিল ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে। নিজ্জরের হত্যার ঘটনায় ভারতের যোগ থাকতে পারে বলে ২০২৩ সালে কানাডার সংসদে দাঁড়িয়ে বিবৃতি দিয়েছিলেন ট্রুডো। তবে সেই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছিল ভারত। আর সেইস🍬ঙ্গে গত এক বছরে বারবার বলে এসেছে যে প্রমাণ দেওয়া হোক নয়াদিল্লিকে। সেই প্রমাণ অবশ্য দিতে পারেনি ট্রুডো সরকার। এদিকে সম্প্রতি কানাডায় নিযুক্ত হাইকমিশনার সঞ্জয় বর্মা-সহ কয়েকজন ভারতীয় কূটনীতিবিদকে একটি মামলার তদন্তে ‘পারসন অফ ইন্টারেস্ট’ করা হয়। এমনকী তাঁদের জেরা করতে চাওয়া হয়েছিল বলেও দাবি করা হয়েছে একাধিক রিপোর্টে। সূত্রের খবর, খলিস্তানি জঙ্গি নিজ্জরের মামলায় সঞ্জয় ভার্মাদের কাছে কোনও তথ্য থাকতে পারে বলে দাবি করেছিল কানাডা। আর এরপরই কানাডা সরকারের সেই পদক্ষেপে তুমুল ক্ষোভপ্রকাশ করে নয়াদিল্লি। প্রাথমিকভাবে কড়া বার্তা দেওয়া হয়। তলব করা হয় ভারতে কানাডার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার স্টুয়ার্ট রস উইলারকে।
এরপর কানাডা থেকে ভারতীয় হাইকমিশনার-সহ বেশ কয়েকজন কূটনীতিবিদকে ফিরিয়ে আনার ঘোষণা করা হয়। আর তারপর ভারতে কানাডার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার-সহ ছয় কূটনীতিবিদকে বের করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা൲ করা হয়। এই সংঘাতের আবহে কানাডা আবার দাবি করে, খলিস্তানিপন্থীদের ভারতীয় এজেন্টরা হেনস্থা করছে। রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছিল, সেই কাজের জন্য সংগঠিত অপরাধী গোষ্ঠীকে ব্যবহার করা হচ্ছে। সেখানে নাকি বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সঙ্গেও কাজ করেছে ভারতীয় এজেন্টরা। যদিও ভারত প্রথম থেকেই দাবি করে এসেছে, ট্রুডো সরকার নিজের খলিস্তানি ভোটব্য়াঙ্ককে খুশি করতেই ভিত্তিহীন অভিযোগ করে আসছে। এরই মাঝে আবার জাস্টিন ট্রুডো কার্যত মেনে নিয়েছেন যে এই ইস্যুতে ভারত সঠিক কথাই বলছিল। দিল্লির হাতে কানাডা কোনও প্রমাণই তুলে দেয়নি।