আইসি🎉আইসিআই ব্যাঙ্ক থেকে ৩ হাজার ২৫০ কোটি টাকার ঋণ নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল ভিডিয়োকনের মালিক বেণুগোপাল ধূতকে। এর আগে এই প্রতারণা কাণ্ডে আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের প্রাক্তন সিইএও চন্দা কোচর ও তাঁর স্বামী দীপক কোচরকে গ্রেফকার করেছিল সিবিআই। অভিযোগ, অবৈধভাবে ভিডিয়োকনকে ৩ হাজার ২৫০ কোটি টাকার ঋণ পাইয়ে দিয়েছিলেন কোচর দম্পতি। এই লেনদেনের মাধ্যমে চওন্দার পরিবারের সদস্যরা সরাসরি লাভবান হয়েছেন বলেও মনে করে সিবিআই। এবার এই মামলায় গ্রেফতার হলেন ভিডিয়োকনের কর্ণধার।
অভিযোগ, ৩ হাজার ২৫০ কোটি টাকার ঋণের অনুমোদন হওয়ার কয়েকদিন পরই দীপক কোচরের নিউ পাওয়ার রিনিউয়েবলে বিনিয়োগ করেন বেণুগোপাল। এই অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার আইসিআইসিআই ব্যাঙ্✨কের প্রাক্তন প্রধান চন্দার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। আইসিআইসিআই কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, সংস্থার আচরণবিধি, স্বার্থরক্ষার নীতি ভঙ্গ করেছেন চন্দা। এরপর চন্দাকে বরখাস্ত করা হয়েছিল আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক থেকে। আর কয়েকদিন আগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এর আগে মুম্বইয়ের ফ্ল্যাট, একটি কম্পানির সম্পত্তি সহ মোট ছন্দার মোট ৭৮ কোটির সম্পদ বাজেয়াপ্ত করেছিল ইডি। ইডি-র অভিযোগ, দীপক কোচরের সংস্থা নিউপাওয়ার রিনিউয়েবলস প্রাইভেট লিমিটেডে মোট ৬৪ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে ভিডিয়োকন গ্রুপ, যা মূলত ঘুষ হিসেবে দেওয়া হয়েছিল।
২০১৯ সালে সিবিআই এই মামলায় এফআইআর দায়ের করেছিল। এই আবহে শুক্রবার কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার সদর দফতরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছিল ছন্দা এবং দীপককে। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁদের থেকে সন্তোষজনক কোনও উত্তর না পেরে শেষমেশ গ্রেফতারির সিদ্ধা♏ন্ত নেয় সিবিআই। রবিবার চন্দা এবং তাঁর স্বামী দীপককে মুম্বইয়ের বিশেষ আদালতে হাজির করিয়েছিল সিবিআই। তাꦚঁরা ৩ দিনের জন্য সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন।
এদিকে ধৃত বেণুগোপালের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বহু সংস্থায় ভুয়ো মালিক নিয়োগ করে অর্থ তছরুপ করেছেন তিনি। বাংলোর সাফাইকর্মী কেশরমল নেনসুখলালকে গান্ধী ইন্ডিয়ান রেফ্রিজ🧸ারেটর কোম্পানি লিমিটেড সংস্থার অধিকর্তা পদে বসিয়েছিলেন বেণুগোপাল। ইডি-কে তিনি জানিয়েছেন, ওই সংস্থা সম্পর্কে তিনি কিছুই জানতেন না এবং তিনি যে সেখানে অধিপর্তা পদে রয়েছেন, সে ধারণাও তাঁর ছিল না। ২০০১ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত মালি হিসেবে কর্মরত লক্ষ্মীকান্ত সুধাকর কাটোরেও বহু সংস্থার শীর্ষ পদে ছিলেন। তবে তিনিও আদতে তাঁর মালিকানা সম্পর্কে কিছুই জানতেন না। তবে ভিডিয়োকন থেকে মাসিক ১০ হাজার টাকা বেতন পেতেন তিনি। বসন্ত শেষরাও কাকাড়ে নামে ভিডিয়োকনের এক কর্মীকেও ১০০টির বেশি সংস্থার ডিরেক্টর পদে দেখানো হয়েছিল। চন্দা কোচর এবং দীপক কোচরও এই একই ভাবে বিভিন্ন ব্𓂃যক্তিকে ভুয়ো ভাবে বিভিন্ন সংস্থার মালিক বানিয়েছিলেন বলে উঠে এসেছিল ইডির তদন্তে।